পাতা:আমার খাতা - ইন্দিরা দেবী (১৯১২).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্যজীবন।
১১৩

যে সারাদিন উহারা থাকে না, সন্ধ্যা হইলে দল বাঁধিয়া বন হইতে আসে আবার প্রভাত হইলেই চলিয়া যায়।

 ইতিমধ্যে ঠাকুরবাড়ীর প্রশস্ত প্রাঙ্গনে যাইয়া উপস্থিত হইলাম। তাহার চারিদিকেই মন্দির, সম্মুখে হর পার্ব্বতীর মন্দীর, ঊর্দ্ধ দিকে চাহিয়া দেখিলাম লালবস্ত্র খণ্ডের দ্বারা মহাদেবের মন্দির হইতে পার্বতীর মন্দিরে গ্রন্থি বন্ধন করা আছে। আমি তাহা দেখিয়া পাণ্ডাকে জিজ্ঞাসা করিলাম—ইহার উদ্দেশ্য কি? পাণ্ডা বলিল যে, যাত্রীগণ শুভফলাকাঙ্খায় টাকা খরচ করিয়া এই গ্রন্থি বাঁধিয়া যায়। সেই গ্রন্থি বন্ধন দেখিয়া আমার মনে হইল যে আমার স্বামীর হৃদয়ে ও আমার হৃদয়ে যে গ্রন্থি বন্ধন হইয়াছিল তাহা ইহলোক পরলোকের ব্যবধান অতিক্রম করিয়া অনুস্যূত হইয়া রহিয়াছে। প্রেমের পরাকাষ্ঠা হর পার্ব্বতীর যুগল মূর্ত্তী ভাবিতে ভাবিতে