পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমেরিকার নিগ্রো এই ত আমাদের ঘর। এটা পূর্বে আস্তাবল ছিল। প্রত্যেক দু ঘােড়ায় যে স্থান দখল করত আমরা প্রত্যেক পরিবার সেই স্থান দখল করে আছি। কোনও পরিবারে সাত জন পর্যন্ত লােক। হঁ্যা, আমাদের ঘরে ইলেকটিক আছে, ঘোড়া বিজলী বাতি বােধ হয় পছন্দ করে না সেজন্য তখন ইলেকটিক ছিল না। সারা রাত বাতি প্রজ্জ্বলিত থাকে না। ঠিক বারটার সময় মেন্ সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের মনিব বলেন, রাত্রে না ঘুমালে সকালে কি করে কাজ করব? আমার মা বড়ই লােগ। কত রােগ তার শরীরে আছে ডাক্তারই শুধু বলতে পারেন। সিফিলিজ, গণােরিয়া, ডিসপেপসিয়া লাে ব্লাড প্রেসার এসব ত আছেই, এর পরেও কি আছে কে জানে? আমার মা রাত্রে ঘুমাতে পারেন না। বাইরে যেতে হয়। এক দিন অন্ধকারে পড়ে গিয়ে একটি দাত ভেঙ্গে ফেলেন। মনিব সংবাদ শুনে বলেছিলেন, “নিশ্চয়ই মাতাল ছিল, নতুবা হোঁচট খাবে কেন?” মনিবের মন্তব্য শুনে মা বলেছিলেন, “মনিব ভুল করেছেন, এটা হল ঈশ্বরের ইচ্ছা, কারো দোষ নয়।” কি জানি ঈশ্বর কেমন? নিগ্রোর বেলায়ই যত শাস্তির ব্যবস্থা। কই, শ্বেতকায়রা তো হোঁচট খায় না। তাদের ঘরের সামনে উচু নীচু জমি নেই। কি সুন্দর দুর্ব্বাদল পরিবেশিত চলা-ফেল করার প্রাঙ্গণ। বেশি বলে লাভ নেই। মা বলেছেন সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা, দেখা যাক ঈশ্বর কেমন, কোথায় থাকেন। বােধহয় ঈশ্বর ইংল্যাণ্ডের রাজা হবেন নয় ত ফ্রান্সের মারশেল জুফ্রে। টাকা হলে এদের সংগে দেখা করে জিজ্ঞাসা করব, আমার মায়ের দুর্ভাগ্য কেন? | একদিন মা বলছিলেন, উত্তর দেশের লিন্ নামে এক জন বড় লােক ছিলেন। তিনি নিগ্রোদের স্বাধীনতার জন্য আমাদের দেশের -