বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিভাষাপ্রকরণ । VS) তৎপরিবর্তে রক্তচন্দন প্রয়োগ করিবে। কিন্তু ইহা যে সকলের শরীরেই অসহ হইবে, এরূপ কোন কথা নাই। যেখানে অসহ্য হইবে, উহার অর্থ এই যে, ভল্লাতক অত্যন্ত পিত্তবৰ্দ্ধক, সুতরাং পিত্তপ্রধান শরীরে অর্থাৎ অস্ত্রপিত্ত ও শূল প্রভৃতি রোগে উহা সহ্য হয় না। কিন্তু অমৃতভল্লাতক যে নিয়মে প্রস্তুত হয়, আমার বিশ্বাস অল্প, মাত্রায় প্রয়োগ করিলে ঐ সকল পিত্তপ্রধান রোগেও সহ্য হুইতে পারে, তবে ইহা স্মরণ রাখা কর্ত্তব্য, ভল্লাতক এতাদৃশ উপকারী হইলেও পিত্তনাশক দ্রব্যের সংযোগ ব্যতীত ভক্ষণ করা কদাপি উচিত নহে, এই জন্যই শাস্ত্রকারগণ দ্বত, छूथ ७ ििम नश्यांश श्। ভক্ষণ করিতে উপদেশ দিয়াছেন, এই জন্যই অমৃতভল্লাতক দুগ্ধ, চিনি ও ঘূতসংযোগে পাক করিয়া সেবনের বিধি আছে, কিন্তু তথাপি উহা সেবনে শরীর গরম হইলে বা গাত্রজ্বালা অনুভূত হইলে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হইলে, চিনি দ্বারা প্রস্তুত তিলের লাড়ু, নারিকেলের দুধ, ইক্ষুরস, ডাবের জল প্রভৃতি দ্রব্য ঐ সকল উপসৰ্গ নিবারণের জন্য প্রতিষেধকরূপে আমরা ব্যবস্থা করিয়া থাকি। উহা সেবনকালে যাহাতে দাস্ত পরিষ্কার থাকে, তৎপ্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা কর্ত্তব্য। অৰ্শরোগে অমৃতভল্লাতক অমৃতের ন্যায় উপকারী, অশোরোগে ইহী প্রয়োগে দূষিত রক্ত পরিস্কৃত ও বলি শুষ্ক হইয়া রোগী আরোগ্য লাভ করে, রক্তগুল্মরোগে কেবলমাত্র উহা প্রয়োগেই রোগিণী আরোগ্য লাভ করিয়াছে, এইরূপ দেখা গিয়াছে, আর পারদবিকৃতি, উপদংশবিষ ও কুণ্ঠ ইহা প্রয়োগে বিনষ্ট হইতে দেখা গিয়াছে, এমন কি আমার বিশ্বাস এই সকল রোগের বিষ নষ্ট করিতে ইহা সালসা অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। যাহারা সালসার জন্য অধিক অর্থ ব্যয় করিতে অসমর্থ, তাহাদিগকে আমি অমৃতভল্লাতক ভক্ষণ করিতে পরামর্শ দেই। অত্যন্ত্র খরচে রোগমুক্ত হইবার পক্ষে এমন অদ্বিতীয় ঔষধ আর নাই। অমৃত ভল্লাতকের মাত্রা ১৫ ফোটা হইতে ৬০ ফোটা পর্যন্ত ঈষদুষ্ণ দুগ্ধসহ দিনে একবার আহারান্তে সেব্য। ভল্লাতকশোধনে- সতর্কত । ভল্লাতক এতাদৃশ উপকারী হইলেও উহা শোধনের বা প্রস্তুতের সময় অতি সতর্ক হওয়া উচিত, নচেৎ বিপদের সম্ভাবনা, প্রথমতঃ দুই হস্তে ঘূত মাখাইয়া সুপক্ক ভল্লাতক জলে নিক্ষেপ করিবে, পরে যে গুলি ডুবিয়া যাইবে, সেইগুলি ওই • পূর্বক ইষ্টক চুর্ণ বা শুরকীর সহিত একদিন এক রাত্রি