পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG 9 अब्रिभiरक চারিদিক নির্জন। দূরের বস্তিতে কারা টিন পিটাইতেছে অন্ধকারের মধ্যে। মনে ভাবিলাম, এই অৰ্গলহীন কাশডাটার বেড়ার আগড়-দেয়া কুঁড়েতে ইহাৱা রাত কাটাইবে এই শ্বাপদসংস্কুল অরণ্যের ধারে, ছেলেপুলে লইয়া-সাহসও আছে বলিতে হইবে । এই তো মাত্র দিন-কয়েক আগে এদেরই মত আর একটা খুপরি হইতে ছেলে লইয়া গিয়াছে মায়ের কোল হইতে- এদেরই বা ভরসা। কিসের ? অথচ একটা ব্যাপার দেখিলাম, ইহারা যেন ব্যাপারটা গ্রাহের মধ্যেই আনিতেছে না। তাত সন্ত্রস্ত ভাবও নাই। এই তো এত রাত পর্য্যস্ত উন্মুক্ত আকাশের তলায় বসিয়া গল্পগুজব, রান্নাবান্না করিল। বলিলাম-তোমরা একটু সাবধানে থাকবে । মানুষ-খেকো বাঘ বেরিয়েছে জানি তো ? মানুষ-খেকো বাঘ বড় ভয়ানক জানোয়ার, আর বড় ধূর্ত্ত । আগুন রাখে খুপেরির সামনে, আর ঘরের মধ্যে গিয়ে ঢুকে পড়। ঐ তো কাছেই বন, রাত-বেরাতের ব্যাপারমেয়েটি বলিল-বাবুজী, ও আমাদের সয়ে গিয়েছে। পুশিয়া জেলায় যেখানে ফি-বছর ধান কাটতে যাই, সেখানে পাহাড় থেকে বুনো হাতী নামে। সে জঙ্গল আরও ভয়ানক। ধানের সময় বিশেষ ক’রে বুনো হাতীর দল এসে উপদ্রব করে। মেয়েটি আগুনের মধ্যে আর কিছু শুকনো বনবাউয়ের ডাল ফেলিয়া দিয়া HLDB DBB uB DDD DDS বলিল-সেবার আমরা অখিলকুচা পাহাড়ের নীচে ছিলাম। একদিন রাত্রে এক খুপরির বাইরে রান্না করচি, চেয়ে দেখি পঞ্চাশ হাত মাত্র দূরে চার-পাঁচটা বুনো হাতী-কালো কালো পাহাড়ের মত দেখাচ্ছে অন্ধকারে-যেন আমাদের খুপরির দিকেই আসচে। আমি ছোট ছেলেটাকে বুকে নিয়ে বড় মেয়েটার হাত ধরে রান্না ফেলে খুপরির মধ্যে তাদের রেখে এলাম। কাছে আর কোন লোকজন নেই, বাইরে এসে দেখি তখন হাতী ক'টা একটু থমকে দাড়িয়েছে। ভয়ে আমার গলা কাঠ হয়ে গিয়েছে। হাতীতে খুব দেখতে পায় না। তাই রক্ষেওরা বাতাসে গন্ধ পেয়ে দূরের মানুষ বুঝতে পারে। তখন বোধ হয় বাতাস অন্য দিকে বইছিল, যাই হোক, তারা অন্য দিকে চাঁ, গেল । ওঃ, সেখানেও