পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক ২৬৩ নয়-প্রাচীন লোক বলিয়াই তাহার নাম দ্রোণ, আধুনিক কালের ছেলেছোকরা হইলে নাকি নাম হইত। ডোমন, লোধাই, মহারাজ ইত্যাদি। এসব বাবুগিরি নাম সেকালে বাপ-মায়ে রাখিতে লজাবোধ করিত । যাহা হউক, বৃদ্ধ দ্রোণ একবার কাছাৱি আসিয়া হনুমান-ধ্বজার নীচে পাথরখানা লক্ষ্য করিল। তারপর হইতে বৃদ্ধ কলািবলিয়া নদীতে প্রাতঃস্নান করিয়া এক ঘটী জল প্রত্যহ আনিয়া নিয়মিতভাবে পাথরের উপরে ঢালিত ও সাতবার পরম ভক্তিভরে প্রদক্ষিণ করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিয়া। তবে বাড়ী ফিরিত । দ্রোণকে বলিয়াছিলাম-কলািবলিয়া তো এক ক্রোশ দূর, রোজ যাও সেখানে, তার চেয়ে ছোট কুণ্ডীর জল আনলেই পার দ্রোণ বলিল-মহাদেওজী স্রোতের জলে তুষ্ট থাকেন, বাবুজী । আমার জন্ম সার্থক যে, ওঁকে রোজ জল দিয়ে স্নান করাতে পাই । ভক্তও ভগবানকে গড়ে । দ্রোণ মাহাতোর শিবপূজার কাহিনী লোকমুখে বিভিন্ন বস্তিতে ছড়াইয়া পড়িতেই মাঝে মাঝে দেখি দু-পাঁচজন শিবের পুজারী নর-নারী যাতায়াত শুরু করিল। এ অঞ্চলে এক ধরণের সুগন্ধ ঘাস জঙ্গলে উৎপন্ন হয়, ঘাসের পাতা বা ডাটা হাতে লইয়া আস্ত্রাণ লইলে চমৎকার সুবাস পাওয় BDD S DD DDD DBDBDS BB BDDB uuB DS DBDD DBBDDO BBD DD DBB BDS ঠাকুরের চারিধারে রোপণ করিল। একদিন মটুকনাথ পণ্ডিত আসিয়া বলিল, -বাবুজী, একজন গাঙ্গোত কাছারির শিবের মাথায় জল ঢালে, এটা কি ভাৱ হচ্ছে ? বলিলাম-পণ্ডিতজী, সেই গাঙ্গোতাই ওই ঠাকুরটিকে লোক-সমাজে প্রচাৰ করেছে। যতদূর দেখতে পাচ্ছি। কই তুমিও তো ছিলে, এক ঘটী জল তো কোন দিন দিতে দেখি নি তোমায় । রাগের মাথায় খেই হারাইয়া মটুকনাথ বলিয়া বসিল-ও শিবই । বাবুজী । ঠাকুর প্রতিষ্ঠা না করলে পূজো পাওয়ার যোগ্য হয় না। ও তো এক थांन1 *ांथंद्रद्म प्रख्रि ।