বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসব কথা বলতে গেলেই কানু চিরদিন চটে গেছে। স্মরণ করে বুড়ীর বোধ হয় খেয়াল হয় যে তার ছেলে আর ছেলের বন্ধু চুপচাপ মন দিয়ে তার এধরণের কথা শুনছে । ঃ ও মা, কড়ায়ে তেল চাপিয়ে এয়েছি যে-পুড়ে গেল বুঝি । এবার মরলে বাচা যায় । তারপর ওঠে কেশবের অসুখের কথা । কানু সব শুনে বলে, সব ধাপ্লাবাজি । খালি কথার মারপ্যাচ । বাড়ী বাধা দিয়ে টাকাগুলো ফাকিবাজকে গছিয়ে দিলি । কেশব বলে, না। ডাক্তার খুব জবর, পেটের কথা টেনে বার করে। মুখ ফুটে বলি নি, আমার কথা থেকে আঁচ করে কি বললে জানিস ? কেশব মুচকে মুচকে, হাসে । আড় চোখে কান্তর দিকে তাকায় । বেলার মা হঠাৎ পিট করে মরে যাওয়ায় তার বিয়েটা প্রায় দুমাস পিছিয়ে গিয়েছিল । একমাস অশৌচ, তারপর একমাস বিয়ের তারিখ ছিল না । পচ্ছন্দ করা মেয়ে বেলার সঙ্গে বিয়ে-দু’জনে মিলে অনেক চেষ্টায় সম্ভব করা বিয়ে । কানু তাই দুর্ঘটনার জন্যও বিয়ে পিছিয়ে দেবে না।--ব্যাণ্ডেজ বাধা অবস্থাতেও বেলাকে বিয়ে করে আনবে । ললনাকে সে ভালবাসে শুনে কে জানে কানু কি বলবে । সে তো মায়ার কথাও জানে ।

কি ডাক্তার বললে ? ঃ বললে এমনি সুবিধে হবে না জানি, তাই বাবুর মেয়েটার সাথে স্বপ্নে পিরীত জমাই । আমি একেবারে থ” বলে গেলাম মাইরি। কি স্বপ্ন দেখি সেটা পর্য্যন্ত আঁচ করেচে ।

SV2