পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেখানে আছে সেখানে তখন আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা। মায়াকে । বমন বিগড়ে যাক, বিতৃষ্ণা জাগুক, তাকে বোঝা মনে হোক, সারাজীবন বিয়ে করা বৌয়ের মত তার বোঝা বয়ে চলতে হবে । কি সাংঘাতিক কথা । কিন্তু শুধু এইদিক দিয়েই কি সংঘাতিক কথাটা ? মায়াকে তার ভাল না লাগতে পারে, সে বোঝা হয়ে উঠতে পারে, এই সম্ভাবনাটা ? এই আশঙ্কায় মায়াকে নিয়ে যদি তার নীড় বাধতে ইচ্ছা না। হয়, মায় এমন ব্যাকুল হলেও তার মধ্যে সাড়া না জাগে, মায়ার জন্য তার ভালবাসার মানেটা কি দাড়ায় ? কি দরের ভালবাসা এটা ? হিসাবটা তো জটিল নয় মোটেই । অতি সহজ সরল কথা । একটি দুঃখিনী নারী নির্কিবিচারে তাকে দেহ মন দান করেছে, গ্রহণ করতে তার দ্বিধা জাগে নি। কিন্তু মেয়েটির জন্য কোনরকম ঝঙ্কাট পোয়াতে সে রাজী নয় ! গা বঁচিয়ে গোপনে তার ভালবাসা ভোগ করতে সে প্রস্তুত আছে কিন্তু কোনরকম বাস্তব অসুবিধা বাস্তব দায়িত্ব মানতে তার রুচি নেই । মায়া যেভাবে আছে এভাবে থাকলে তার কোন ভাবনা নেই । দরকার হলে সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেই ফুরিয়ে গেল। সে তো তবে অমানুষ, পাষণ্ড ? সাধারণ স্বার্থপর লম্পট ছাড়া কিছুই নয় ? 反邻 অনিমেষের বুড়ী মা বড় মেয়ের কাছে এলাহাবাদ গেছে। জামায়ের খুব অসুখ। চিকিৎসার জন্য কমলের কলকাতা আসার কথা। তবু আনিমেষের 9 9