পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, ১৩১৯ ৷৷ अणुक्रे-5ऊ ov)) ভ্রাতুপুত্রের কথায় পিতৃব্যের হৃদয় আনন্দে পূর্ণ চুইল। তিনি বলিলেন, “হঁ, ও টাকাও আমার । আমি তোমাকে দিতেছি।” “আপনি আমাদের কয় ভ্রাতাকে সব সমান ভাগ করিয়া দিউন ৷” ভট্টাচার্য্য মহাশয় সস্নেহে পুত্রাধিক স্নেহভাজন ভ্রাতুষ্পপুত্রের মস্তকে দক্ষিণ করা হল রাখিয়া তাহাকে আশীৰ্বাদ করিলেন । আবেগে তঁাহার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিতেছিল। তিনি বলিলেন, “দেবী যদি বেতনের টাকা তোমার কাছে রাখে, তুমি কি প্রাণ ধরিয়া সে টাকা তহবিলে লইতে পার ?” রাধাচরণ তবুও বলিল, “আমি টাকা লইব না ।” ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “কোন লইবে না , ধামাচরণকে ব্যবসা করিতে আমিই ত টাকা দিয়াছি। জামিন দিলে তোমার ভাল চাকরী হইতে পারে ; এ টাকা লইয়া তুমি ব্যবসাও করিতে পার। আমি তোমাকে টাকা দিতেছি। তুমি অবশ্যই লইবে।” রাধাচরণ আর কোন কথা বলিল না। সে পূর্বে কখনও জ্যেষ্ঠতাতের কথায় প্রতিবাদ করিতে পারে নাই ; আজ যে পারিয়াছিল, সে আত্মবিস্মৃতি বশতঃ । সে ভাবিল, ইহার পর বামাচরণের সহিত পরামর্শ করিয়া টাকাটা, কয় ভ্রাতায় ভাগ করিয়া লইবার ব্যবস্থা করিবে । ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, ‘রবিবারে তারাকে একবার পাঠাইয়া f\s ” ‘আমি লইয়া আসিবা” বলিয়া রাধাচরণ উঠিল। ভট্টাচার্য্য মহাশয় কাগজ কয়খানি তাহার হস্তে দিলেন । রাধাচরণ কলিকাতায় যাইয়া বামাচরণকে সব কথা বলিল। বামাচরণ তাহাদিগকে বঞ্চিত করায় পিতার প্রতি অসন্তুষ্ট হইল। সে কথাও ভট্টাচার্য্য মহাশয় জানিতে পারিলেন । ভ্রাতুষ্পপুত্রের ব্যবহারে তিনি যেমন প্রীত হইয়াছিলেন, পুত্রের ব্যবহারে তেমনই ব্যথিত হইলেন। ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের শরীর ক্রমেই দুর্বল হইয়া পড়িতে লাগিল শেষে মাঘ মাসে তিনি শষ্যা লইলেন । এই সময় এক দিন তিনি বিরজাকে বলিলেন, “বিরজা, অনেক দিন শৈলজাকে দেখি নাই। একবার আসিতে পায়ে না ? মরিবার পূর্বে একবার তাহাকে দেখিতে পাইব না ?” বিরাজা শৈলজাকে পত্র লিখিল । সে পত্র পাইয়াই শৈলজা পিত্রালয়ে आणि |