পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.বন্ধু । y oe ן אכסני לידיש: 8 পরদিন আদালত হইতে ফিরিয়া অমিয়নাথ চারুশীলার পিতার পত্র পাইল । পত্রে তিনি লিখিয়াছেন, তিনি বিশেষ প্রয়োজনে সপরিবারে দাৰ্জিলিং যাইতেছেন ; সে দিন সন্ধ্যায় তাহার গৃহে অমিয়নাথের আহারের নিমন্ত্রণ ছিল—সেই জন্য তিনি এই পত্র লিখিতেছেন। অমিয়নাথ তাহার ক্রটি মার্জনা করিলে তিনি বাধিত হইবেন। : ব্যাপারটা রহস্যকুহেলিকাচ্ছন্ন বোধ হইল। সঙ্গে সঙ্গে অমিয়নাথের আনন্দালোকসমুজ্জ্বল হৃদয়েও আশঙ্কার কুহেলিকা ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । সে পত্রখানা দুই বার-তিন বার পাঠ করিল ; তাহার পর কি করিবে স্থির করিতে না পারিয়া পরামর্শ করিবার জন্য সুরেন্দ্রকুমারের গৃহে চলিল । সে বন্ধুগৃহে উপনীত হইতেই সুরেন্দ্রকুমারের ভূত্য বলিল—তাহার। প্রভু পাহাড়ে গিয়াছেন । কোথায় গিয়াছেন-জিজ্ঞাসায় সে সুরেন্দ্রনাথ যে ঠিকানা লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছিল। তাহা দেখাইল । অমিয়নাথ দেখিলদাৰ্জিলিং ! রহস্য সন্দেহে পরিণত হইয়া তাহার হৃদয়ে বিষজ্বালার সঞ্চার করিল। কেন সে দিন তাহার বিবাহের কথা শুনিয়া সুরেন্দ্রকুমারের মুখ বিবর্ণ হইয়াছিল। তাহা সে বুঝিল। সে সুরেন্দ্রকুমারকে জগতে পাপিষ্ঠাধিম মনে করিল ; আর তাহাকে এতদিন বন্ধু ভাবিয়াছিল বলিয়া আপনার বুদ্ধিকে ধিকার দিল। অন্য কাহাকেও না পাইয়া সে ভগিনীপতিকে সব কথা বলিল । তিনি ; বলিলেন, “দুই চারি দিন সবুর করিলেই সব জানিতে পরিবে। অত ব্যস্ত হইও না। জানত “সবুরে মেওয়া ফলে ।” ”-সবুর করা ব্যতীত গতি ছিল না। সে সবুর করিল-কিন্তু তাহার বোধ হইতে লাগিল, সে এত সবুর করিয়াছে যে, মেওয়া ফলিয়া বারিবার সময় হইয়াছে। শেষে এক পক্ষ পরে সে সুরেন্দ্রকুমারের এক পত্র পাইল । সুরেন্দ্রকুমার লিখিয়াংছে-“আমি চারুশীলাকে বিবাহ করিয়াছি। কেন করিয়াছি তাহা বুঝাইতে পারিব না। তুমি আমাকে নরাধম মনে করিতেছ, আমি তাহা জানি। যদি পাের, দীর্ঘকালব্যাপী বন্ধুত্ব স্মরণ করিয়া আমাকে ক্ষমা করিও । আমি আর তোমার কাছে দেখা দিব না, চারুকে লইয়া দার্জিলি’ এই থাকিব। আমি তোমাকে যে সুখে বঞ্চিত করিলাম, ভগবান তোমাকে তদপেক্ষা অধিক সুখে সুখী করুন। সেই অধিক সুখই তোমার প্রাপ্য।”