Positivism বা ধ্রুবদর্শন প্রসঙ্গ। ষে কয়জন মনীষী বাঙ্গালী কোমতের সর্বপ্রথম মন্ত্রশিষ্য হইয়াছিলেন, তঁহাদের অন্যতম পূজ্যপাদ আচার্য্য শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য মহাশয় এক দিন কথাপ্রসঙ্গে বলিলেন “দেখ, যে শাস্ত্র গাত পঞ্চাশ বৎসরের অধিক কাল * ধরিয়া আলোচনা করিয়াছি, তৎসম্বন্ধে আমার কিছু বক্তব্য আছে। ইচ্ছা! হয়, মৃত্যুর পূর্বে ধ্রুবদর্শন সম্বন্ধে আমার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করি । । “Ecstatic philanthropy RF RG EIFR fris ? *f3ffG ERKIKSITYSরের সৃষ্টি । উহার অর্থ করা যাইতে পারে, পরোপকারে আনন্দ-বিহবলতা । স্পেন্সার কোমতের গ্রন্থাদি পড়িতেন না ; কোমতের দার্শনিক মতসমূহ তিনি পছন্দ করিতেন না । তিনি নিজে যে দার্শনিক প্রস্থান ( School of Philosophy ) প্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন তাহা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। কিন্তু দুই চারিজন কোমতের ভক্তের সহিত র্তাহার বিশেষ সৌহৃদ্য ছিল ; যথা, দৰ্শনশাস্ত্রের ইতিহাস-লেখক লুইস এবং উহঁর চিরসঙ্গিনী ( যদিও অবৈধরূপে ) প্রসিদ্ধ উপন্যাস রচয়িত্রী জর্জ ইলিয়ট ওরফে কুকারী ইভান্স একটি বোধহয় কোমৃতের দর্শনের অনুবাদিকা কুমারী মাটিনে। ইহঁরা কয়েকজনে মিলিয়া এক্স (X) ক্লাব নামক একটি গোষ্ঠিতে মিলিত হইতেন। দশ জনের অধিক সভ্য হইবে না। এই নিমিত্ত উহার এইরূপ নামকরণ হইয়াছিল। বোধ । হয়, হাক্সলিও উহার মধ্যে ছিলেন। হাক্সলিও কোমতকে অত্যন্ত তুচ্ছ জ্ঞান করিতেন ; তঁাহার নামের উল্লেখ হইলেই বদখৎ দর্শনশাস্ত্র ও ততোধিক নিকৃষ্ট free irrig ( Bad philosophy and worse science ) এই প্রকার শব্দ প্রয়োগ করিতেন। কিন্তু এ প্রকার মতভেদ সত্বেও সভ্যদিগের মধ্যে কিছুমাত্র মনোমালিন্য ছিল না। লুইস কোমতের একজন গোড়া ভক্ত ছিলেন ; জর্জ ইলিয়ট ততদুর না হউন, কোমতকে উনবিংশ শতাব্দীর এক প্রধান জ্যোতিঃ বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। লুইস আপনার দর্শনের ইতিহাসে লিখিয়াছেন যে, কোমতের প্রণালী পুর্বতন দর্শনকারদিগের প্রণালী হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন। দর্শনকারদিগের মধ্যে চিরকালই একপ্রকার ঢেকির কচ কচি চলিয়া আসিতেছে, নাসেী মুনির্যস্য মতং । ন ভিন্নং ; জার্মান দর্শনকাররা স্কটল্যাণ্ডের মনোবিজ্ঞানবেত্তাদিগকে হেয় জ্ঞান করেন, ইহঁরা আবার-উহাদিগকে দুৰ্বোধ্য স্বপ্নভাষী ( Dreamy ) বলিয়া সিকায় তুলিয়া রাখতে চাহেন। কোমাৎ যখন, তাহার নিজের ধরণে
