- २२७ আর্য্যবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । শিল্পের বিশেষ উৎকর্ষ পরিলক্ষিত হয়। এখনও সে সকল শিল্পকীর্ত্তি আমাদের বিস্ময় উৎপাদিত করিতেছে। এইরূপে অশোকের রাজত্বকালকে বৌদ্ধযুগের সমৃদ্ধিসময় বলা যাইতেপারে। এই সময়ের ইতিহাসের আলোচনায় প্রাচীন ভারতের সভ্যতাBDKD BDDBBDD BBD DDBDB LLES DYS M LDBDB DDDYY DD ዓስNGዃ] ኛiጻ ] যাহারা ভারতীয় সভ্যতার আধুনিকত্ব সপ্রমাণে সচেষ্ট তাহারা এই পুস্তকের উনবিংশ অধ্যায়ে অশোকের রাজ্যশাসন-প্রণালীর বিবরণ পাঠ করিলে বুঝিবেন যে, সভ্যতাগর্ব্বিত যুরোপে খাষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে যে সকল ব্যবস্থা প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। ভারতে অশোকের শাসনকালে সেই সকল ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল ; কৃষিবাণিজ্য প্রভূতির উন্নতিসাধন হইতে পীড়িত বিদেশগত ব্যক্তিগণের চিকিৎসার উপায়বিধান পর্য্যন্ত সকলেরই সুব্যবস্থা ছিল । আবার অশোকের জীবনকথাও উপন্যাসের মত বৈচিত্র্যময়। সুদীর্ঘকালের চেষ্টায় যুরোপীর পণ্ডিতগণ অশোকের রাজত্বকালসম্বন্ধে বহু প্রমাণ্য ঘটনার আবিষ্কার করিয়াছেন। গ্রন্থকার সেইসকল উপাদান অবলম্বন করিয়া আলোচ্য পুস্তক রচনা করিয়াছেন। বাঙ্গলায় ইতঃপূর্বে প্রসিদ্ধ পণ্ডিত পরলোকগত কৃষ্ণবিহারী সেন মহাশয় অশোকের একখানি জীবনী রচিত করিয়াছেন। তাহার পর অশোকসম্বন্ধে বহু নুতন তথ্য জানাগিয়াছে । বাঙ্গলার কোন লেখক সে সকলের সম্যক সদ্ব্যবহার করেন নাই । কিছুদিন পূর্বে শ্রীযুক্ত মনমোহন চক্রবর্ত্তী মহাশয় ‘সাহিত্যে” ও অল্পদিনপূর্ব্বে শ্রীযুক্ত অজরচন্দ্র সরকার মহাশয় ‘আর্য্যাবর্ত্তে” অশোকের সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছিলেন। প্রথম প্রবন্ধটি সংক্ষিপ্ত ; দ্বিতীয় প্রবন্ধগুলি ধারাবাহিক নহে। ইংরাজীতে বিশেষজ্ঞ রিজ ডেভিড অশোকচারিত রচিত করিয়া কোন অজ্ঞাত~ কারণে পুস্তকের প্রচার বন্ধ করেন। . তাহার পর ভিনসেন্ট স্মিথ অশোকচরিত রচনা করিয়াছেন। এখন তাহাই অশোকের সম্বন্ধে সৰ্বোৎকৃষ্ট প্রামাণ্য গ্রন্থ। চারুবাবু আলোচ্য গ্রন্থরচনা করিয়া বাঙ্গালার বিশেষ অভাব মোচন করিয়াছেন। পুস্তকখানি তথ্যবিষয়ে বিশেষ সারবান। বাঙ্গালায় চারুবাবু বৌদ্ধযুগের ইতিহাস সম্বন্ধে অনেক আলোচনা করিয়াছেন। এই পুস্তক অহারুই ফল। & পুস্তকের কয়টি ক্ষুদ্র ক্রটির উল্লেখ করিয়া আমরা এই সমালোচনা * ८च
