পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩১৯ । [ মানব-প্রহেলিকা। Sህምነፅ মানব-প্রহেলিকা। ва и у не TF V8 F3 i Nature We are surrounded and embraced by her : power less to seperate ourselves from her and powerless to penetrate beyond her.–Goethe. ধরাতালে মানব সৰ্বশ্রেষ্ঠ জীব । মানবের কথা চিন্তা করিলে বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন ইইতে হয় । একদিকে মানুষ পশুমাত্রা,-- আর এক দিকে মানুষ দেবতা । এক দিকে মানুষ জড়পিণ্ড মাত্র-আর এক দিকে মানুষ আধ্যাত্মিকতার অবতার। তির্য্যক প্রাণীতে যে মানসিক শক্তির ক্ষীণ উন্মেষমাত্র দৃষ্ট হয়-মানবে তাহার পুর্ণ পরিণতি পরিলক্ষিত হইতেছে। মানুষের দেহ ধূলিকণায় গঠিত, কিন্তু সেই মানুষই ক্রমশঃ সমস্ত জড় জগতের উপর আধিপত্য বিস্তুত করিতেছে । এই মানুষই দেবভাবপ্রণোদি তি হইয়া পরের জন্য অকাতরে জীবন পর্য্যন্ত বিসর্জন করিতেছে-আবার পশুভাবের তাড়নায় ক্রোড়স্থ শিশুকে দানবের ন্যায় নৃশংসভাবে হত্যা করিতেছে। এই সকল দেখিয়া শুনিয়া মনে হয়, মানবের মত বিস্ময়কর ব্যাপার বুকি বিধাতার সৃষ্টিতে আর নাই। মানব্বই বিধাতার পার্থিব সৃষ্টির চরম প্রহেলিকা ৷ অতি প্রাচীনকাল হইতেই মনীষা সম্পন্ন মহাত্মগণ এই মানব-সমস্যায়। সমাধানকল্পে মস্তিষ্ক আলোড়িত করিয়া অ্যাসিতেছেন । নানা ধর্ম্ম-শাস্ত্রেও এই বিষয়ে নানাবিধ সিদ্ধান্ত উপদিষ্ট হইয়াছে ও হইতেছে। খৃষ্টীয় ধর্ম্মশাস্ত্র বলিতেছেন,-“বিধাতা স্বৰ্গীয় দূতের আদর্শে নুতন ছাচে মানুষ গড়িয়াছেন।” মুসলমানদিগের ধর্ম্মশাস্ত্রের মতও অনেকটা ঐ রূপ। হিন্দুর মত এই যে, জীব একেবারেই মানব-দেহ প্রাপ্ত হয় নাই। অশীতিলক্ষ যোনি পরিভ্রমণ করিয়া, অশীতিলক্ষ দেহ ধারণ করিয়া, পরে জীবাত্মা কর্ম্মানুসারে মানব-দেহ ধারণ করিবার সামর্থ্যলাভ করে । জীবের দেহ-ধারণ সাধন-সাপেক্ষ । ইহা ভিন্ন হিন্দুর ধর্ম্মশ্বাস্ত্রে ব্রহ্মার মানস সৃষ্টির কথাও আছে। অন্যান্য দেবতারাও ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনমতে মানস পুত্রের সৃষ্টি করিয়াছেন,-ইহাও ধর্ম্ম শাজের উক্তি। বর্তমান সন্দর্তে আমি ধর্ম্মশান্ত্রের এই কথার আলোচনা