পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> আঁশুতোষ-স্মৃতিকথা । e আমি স্বয়ং তঁহার যে সকল কার্য্যের সংস্পর্শে আসিয়াছি, তাহ লইয়াই আমাকে কথা বলিতে হইবে,-আমার উপায়ান্তর নাই। পাঠক যেন না ভাবেন, আমি কেবলই নিজেকে জাহির করিতেছি। আর একদিনের কথা বলিব,- প্রধান পরীক্ষকের প্রতিবৎসর কতক গুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিষের দরকার হয়,-খাম, ফিতা, গালা, ফাস, কাগজ, আলপিন, ব্লটিং কাগজ, লেড পেন্সিল, খাম, ফিতা গল। লাল-নীল পেন্সিল ইত্যাদি। তখন চন্দ্রভূষণ মৈত্রেয় এসিষ্টাণ্ট ইত্যাদি চাওয়ার শান্তি রেজিষ্টার। ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষকস্বরূপ আমি চন্দ্রবাবুর নিকট ঐ জিনিষগুলি চাহিলাম। তিনি প্রথম বলিলেন— “পাঠাইয়া দিব।” তারপর কি ভাবিয়া তিনি বলিলেন-‘‘দেখুন, আজকাল খরচ-পত্রের বড় কড়াকড়ি হইতেছে, আমি নিজ দায়িত্বে কিছু একটা করি না । আপনি একটা লিষ্ট দেন, আমি থিবো সাহেবকে ( রেজিষ্টার) দেখাইয়া তাহা পাঠাইবার ব্যবস্থা করিব।” এই সামান্য বিষয়ের জন্য থিবো সাহেবকে ত্যক্ত করিতে আমি দ্বিধা বোধ করিতেছিলাম ; কিন্তু চন্দ্রবাবুর আগ্রহাতিশয্যে শেষে সম্মত হইলাম। আমি একটি ক্ষুদ্র লিষ্ট প্রস্তুত করিতেছি, চন্দ্র বাবু বলিলেন—“কই ছুরি ও কঁচির কথা লিখিলেন না ?” এইরূপ আরও দুই একটি পদ তঁহার কথামত আমি লিখিয়া দিলাম। পরদিন প্রাতে আমি ভবানীপুরে আশুবাবুর বাড়ীতে গিয়াছি, তিনি আমাকে দেখিয়া একটু বিরক্তির সুরে বলিলেন“আপনি এ কি করিয়াছেন ? থিবো সাহেব বলিয়া গেলেন, আপনি এক রাজ্যের জিনিষ-পত্রের জন্য একটা লম্বা লিষ্ট খাড়া করিয়াছেন, আমরা তো এইরূপ জিনিষ-পত্র প্রধান পরীক্ষক স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পাই না।” আমি বলিলাম-“আমি তো বরাবরই উহা পাইয়াই আসিয়াছি।” বিরাজমোহন মজুমদার মহাশয় সেইখানে ছিলেন ; তিনি বলিলেন-“প্রধান পরীক্ষক স্বরূপ আমি তো কোনদিন রেজিষ্টারের ঘর হইতে কিছু নেই নাই (তখন কনট্রোলারের ডিপার্টমেণ্ট হয় নাই)।” আমি মনে ভাবিলাম, তঁাহার ল’ কলেজ আছে, তথাকার আফিসের তিনি কর্ত্তা, সেই স্থান হইতে মায় চাপরাসী, সমস্ত কাগজপত্র ও সরঞ্জাম, সবই পাওয়া যায়। র্তাহার অন্য স্থান হইতে কিছু