পাতা:আষাঢ়ে - দ্বিজেন্দ্রলাল রায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আষাঢ়ে সকল উদ্যম হ'ল বৃথা — থামে না তাঁর হাসি, এলেন ছুটে তাঁর মা, দিদি, মাসী, পিসী, মাসী, বাবা, খুড়ো, ঠাকুরদাদা, পিসে, মেসো, মামা, বন্ধু. ডাক্তার, দাসী, চাকর, রাঁধুনী, খানসামা, গরু, বাছুর ; কিন্তু হাসি নাহি কমে তাঁহার ; হাসতে লাগলেন ক্রমাগত—ভুলে নিদ্রা আহার ’। “ব্যাপারখানাটা কি নিতাই ? ক্ষিপ্তের মত হেন” —সবাই করেন প্রশ্ন—“নিতাই এত হাস্ছ কেন ?” “হাছি আবার কেন ?—হাঃ হাঃ-অ্য-হিঃ হিঃ—ভুলে খেলাম খানিক সিদ্ধি—হুঃ হুঃ ঠাণ্ডা জলে গুলে ;-- সিদ্ধি গু’লে খেয়ে—হেঁ হেঁ~এত হাসি পায়, জান্‌লে—হোঃ হোঃ-কি আর-নিতাই সিদ্ধি গুলে খায় ? বাঁচাও –ঠিঃ ঠিঃ-কোন রূপে, নইলে হেলায় ফেলায়, নিতাই—ক্ষিঃ ক্ষিঃ– হেসে মরে দিনে দুপর বেলায় !” ইহা ব'লে দারুণ হাল নিত্যানন্দ মিত্র। কত যত্ন কত ঔষধ কি চেষ্টা চরিত্র, - বাড়ীশুদ্ধ বিরাট ব্যাপার—সবাই প্রয়াসী, সবাই হিম্‌সিম্ খেয়ে গেল থামাতে সে হাসি । বাবা বলেন, “হেস না-ক গোপাল আমার আদুরে ! মাও বলেন, “থা’ম সোণা, বাছা আমার যাছ রে ! *