বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७ ) যায়ী স্নিগ্ধকারক ঔষধ ১/২/৩ বার প্রত্যহ ব্যবহার করিবে । এবং পিত্ত কম ও গরম কম হইলে অপেক্ষাকৃত অল্প স্নিগ্ধ-” কারক ঔষধ ব্যবহার করিবে। ইসফগুল, বিহিদানা, নুনেশাক, কাস্নি, শস্টারবীজ, কঁকুড়বীজ, ধনে, চন্দন, কাহু, কপূর প্রভৃতি স্নিগ্ধকারক ঔষধ অবস্থা বিশেষে যে পরিমাণে সহ্য হয়। বিবেচনাপূর্বক সেই পরিমাণে ব্যবহার করিবেন। ইসফগুলোর কােথ কিম্বা ইসফ গুল अन्र् সহিত সেবন করাইবেন। ইসফগুলি চুর্ণ করিলে বিষাক্ত জয়। বিহিদানা ভিজাইয়া তাহার কাথ সেবনীয়। বিহিদানা দুই প্রকার-মিষ্টি ও অন্ন। রোগীর সর্দি কাশী থাকিলে অস্ত্র বিহিদানা নিষিদ্ধ। এরূপস্থলে মিষ্ট বিহিদানা ব্যবহার করিাবেন, অপর সর্বস্থলে অয় বিহিদানা ব্যবহার্য্য। খোরফার বীজ (নুনে শাকের বীজ)ও কাসুনীর বীজ জলে বাটিয়া নেকড়া মধ্যে রাখিয়া নিংড়াইয়া কাথি বাহির করিয়া লাইবে ও সেবন করিবে ; অপর খোরফা ও কাসূনার পাতার রস বাহির করিয়া অগ্নিতে কিয়ৎক্ষণ উত্তপ্ত করিলেই তাহার জলীয়াংশ সারাংশ হইতে পৃথক হইয়া যায়। ঐ জলীয়াংশ পরিষ্কার বস্ত্রে ছা কিয়া পান করিলে রক্ত পরিষ্কার ও পিত্ত দোষ নাশ হয় । কিন্তু সারাংশ অপকারক । উপরোক্ত দুই প্রকার ঔষধ একত্র মিলাইয়া ব্যবহার করিলে বেশী উপকার হয়। কাসুনির পাতা জলে ধুইবে৷ না। কারণ ইহাতে তাহার গুণের ব্যতিক্রম হয়। রোগ বিশেষে কাস্নি পাতার রসের সহিত চিকিৎসক বিবেচনা মতে আলুবোখারা কিম্বা তেঁতুলের ক্যাথ মিশ্রিত করিতে