পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভ ভেবেছিল রাগারগি করে অবিলম্বে নবশিৱ মন্দিয় নিয়ে তামাসাটা । বন্ধ করে দেবে। টাকার কথা তুলে জগদীশ তার মুখ বন্ধ করে দেয়। খরচ, বেড়ে গেছে, আয় কমে গেছে, জগদীশের টানাটানি! এদিকটা সেদিন প্রথম খেয়াল হয়েছিল শুভর। টাকার চিন্তায় জগদীশ একটু কাতর। সাধারণ একটা কামারশালার স্থত টিনের ল্যাম্প আর বাক্স তৈরির কারখানাটুকু থেকে সামান্য যে কত টাকা আসে তারও মূল্য আছে জগদীশের কাছে, সেটাও সে হিসাবে ধরে । ভাসা ভাসা ভাবে ব্যাপার খানিকটা অনুমান করেছিল শুভ, খুবই আলগাভাবে । প্রজার দফা নিকেশ হয়ে এসেছে বলে জমিদারের পক্ষেও আগের চালের সঙ্গে নতুন চাল বজায় রেখে চলা দায় হয়ে পড়েছে। শোষণ ঠিক আছে কিন্তু রক্তই শেষ হয়ে এসেছে প্রজার। থাবার ঘায়ে বাঘ ঘাড় মটকাতে পারে। কিন্তু রক্ত না থাকলে সে শুষিবে কি ? তাকে অনুযোগ দেয়নি জগদীশ । শুভ তা জানে। এখনো বেশ কিছুকাল সময় তাকে দেওয়া হবে, ভুলেও জগদীশ তাকে ইঙ্গিতে পর্যন্ত জানাবে না যে এবার তার কিছু করা উচিত। তার কাছে অনেক আশা করেছে জগদীশ, আপাতত সে আশা করেই সন্তুষ্ট । টাকা-পয়সার দিক দিয়ে কোন সাহায্যই সে এখন তার কাছে চায় না । সে চায় না। কিন্তু তার প্রয়োজনটা তো স্কুল বাস্তব সত্যের উপলব্ধি হয়ে ধরা দেয় শুভার কাছে । সে টের পায় যে জানা কথাই আরেকবার জানায় তফাত কি। আদর্শ ও পরিকল্পনা কেটে ছোট নেবার বা বর্জন করার প্রশ্ন ওঠেনি, যা-ই সে করতে চাক তাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়নি। কিন্তু পরিবারের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা তায় কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কেবল BDDD DS TDBD BDD DDB uDBBD DBD DBDDB DBB uDuDDBDS 8 ቅጾጫ