পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈৗটি লক্ষ্মীর কানে কানে কি যেন বলে। লক্ষ্মী মাথা নেড়ে সায় দিয়ে জীবনকে বলে, পালাবে কেন, মাথা খারাপ হবে কেন, সে পয়সা কামাতে গেছে। রোজগার করতে না পারলে ঘরেও ফিরবে না, খবরও দেবে না । সবাই কি জগতে এক রকম হয় ? তুই রাহুইঘরে ষাগাদ। গাদা মুখ তুলে বলে, কেন ? আমি চোর নাকি ? যাবার জন্য সাইকেল ধরে তৈরি হয়ে দাড়িয়েও নন্দ ইতস্ততা করছিল। গেয়ে রাত বলেই, নইলে রাত আর সত্যি সত্যি এমন কি বেশী হয়েছে। আরও কিছুক্ষণ সকলে যদি এখানে ভিড় করতে চায় নবাগত মানুষটাকে ঘিরে, তাদের নিশ্চয় সে অধিকার আছে। লক্ষ্মী স্পষ্ট ভাষায় ভিড় ভাঙার কথা বললেও কেউ উঠে যায়নি। সকলে আরও কিছুক্ষণ বসতে চায় তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাভ কিছু হবে কি ? তাই সোজাসুজি সকলকে যাবার কথা না বলে সাইকেলের ঘণ্টাটা একবার বাজিয়ে দিয়ে সে গলা চড়িয়ে বলে, আমরা আর কেন তবে রাত বাড়াই ? একজন বলে, কথাবার্তা হল না কিছু, মোদের আশা মিটাল না । আরেকজন বলে, তাই বটে তো । কি শুনলাম ? মোটে কিছু নয়। কত VNaf TC: Essa কি সে আশা ? ভাষায় তার প্রকাশ কি ? রুগ্ন নয়। অথচ পাকাটির মত রোগা নারান বলে, ব্যাপার-ট্যাপার হালচাল যদি খানিক বুঝিয়ে দিতেন খবরের কাঙালী বনেছ তোমরা নারান খুড়ে । সেই যে হাপিত্যেশে ছেকে ধরেছি, আর রেহাই নেই। জীবনকে হঠাৎ যেন একটু উৎসাহিত মনে হয়। সে অমায়িকভাবে বলে, শুনতে চায় ভালোই। সকালে বারতলার কাজটা সারি, পা-টা সারুক, একদিন বরং একটা সভা ডেকে সেই ভালো! সেই ভালো! একদিন মস্ত মিটিং হবে সবাই বক্ততা শুনো ! Y 7“