পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট কলাকৌশলময়। গ্ৰীক মন সম্পূর্ণরূপে ইহলোক লইয়াই ব্যাপৃত, সে এই জগতের বাহিরের কোন বিষয় স্বপ্নেও ভাবিতে চায় না । এমন কি, উহাদের কবিতা পর্য্যন্ত এই ব্যবহারিক জগৎকে লইয়া । উহাদের দেবদেবীগুলির কার্য্যকলাপ আলোচনা করিলে বোধ হয় যে র্তাগর মানুষ, সম্পূর্ণরূপে মানব-প্রকৃতিবিশিষ্ট, সাধাবণ মানব যেমন মুখে দুঃথে, হৃদয়েব নানা আবেগে উত্তেজিত হইয়া পড়েন, ইহাবাও প্রায় তদ্রুপ । ইঙ্গর সৌন্দর্য্য ভালবাসে বটে, কিন্তু এটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবেন যে, উহা বাহপ্রকৃতির সৌন্দর্য্য ছাড়া আর কিছুই নহে—বাহ্যজগতের শৈলরাশি, হিমানী ও কুসুমবাশিব সৌন্দৰ্য্য ছাড়া আল কিছুই নহে—উহা বাহ অবয়বেব, বাহ আকৃতিল সৌন্দর্য্য ছাড়। আব কিছুই নষ্ঠে । গ্রীকের নবনারীব মুখের, অধিকাংশ সময়ে নবনারীব আকৃতির সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হইত। আব এই গ্রীকগণই পরবর্তী যুগেব ইউরোপের শিক্ষাগুক বলিয ইউরোপ গ্রীসেব বাণীরই প্রতিধ্বনি করিতেছে । এসিয়ায় আবার অন্তগ্রকৃতি লোকের আবাস । উক্ত প্রকাণ্ড মহাদেশের বিষয় চিন্তা করিয়া দেখুন—কোথাও শৈলমালাব চুড়াগুলি অভ্র ভেদ কবিয়া নীল গগনচন্দ্রতপকে যেন প্রায় স্পর্শ করিতেছে ; কোথাও প্রকাণ্ড মরুভূমিসমূহ ক্রোশের পর ক্রোশ ধরিয়া চলিয়াছে—যেখানে এক বিন্দু জল পাইবার সম্ভাবনা নাই, একটি তৃণও যথায় উৎপন্ন হয় না ; কোথাও নিবিড় অরণ্যানী বিরাজমান—উহাও ক্রোশের পব ক্রোশ ধরিয়া চলিয়াছে—বেন ফুবাইবাব নাম নাই ; আবার কোথাও বা বিপুলকায় স্রোতস্বতী সমূহ প্রবলবেগে সমুদ্রাভিমুখে ধাবমান। চতুর্দিকে প্রকৃতির এই У о