পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড় গিল্পী তাহাকে সাস্তুনা দিয়া বলিলেন, “কঁাদলে কি হবে, ঠাকুর পো । আমি সারা দিনই কঁাদছি। এখন কি করা যায়, তাই ঠিক করা। কাদবার সময় অনেক পাবে-জীবনকালই কঁদতে হবে ।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “এ বিষয়ে কি কৰ্ত্তব্য, তা আমরা কি করে বলব। তুমি দাদার কাছে সব কথা বল। তিনি যা বলবেন, তাই করা যাবে। আমি তাকে এ কথা কিছুতেই বলতে পারব না ।” বড় গিনী দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “কি আর করব, যখন গৰ্ভে মেয়ে ধরেছি তখন আমাকেই এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে-আমিই বড় কৰ্ত্তাকে বলব ।” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “কিন্তু বড়বেী এ কথা ঠিক, লক্ষ্মীর কোন অপরাধ নেই। তার অদৃষ্টের দোষী!” বড়গিন্নী বলিলেন, “সে কথা কি আর আমি বুঝতে পারছিনে। মেয়ে যদি ইচ্ছে করে কুপথে যেত, তা হ’লে তাকে কি ক্ষমা করবার কথা তোমাকে আমি বলতাম। কিছুতেই না ; কিন্তু লক্ষ্মী ত কোন অপরাধই করে নাই ; সেই জন্যই তা আমার বুক ফেটে যাচ্ছে ঠাকুর-পো ! হায় মা দুর্গা, এ কি করিলে মা ! আমার যে ঐ একমাত্ৰ সন্তান। লক্ষ্মী যে আমার বড় আদরের মেয়ে ঠাকুর-পো । তার অদুষ্টে এ কি হইল।” বড় গিন্নী আর কথা বলিতে পারিলেন না । 8 R