পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৭২
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

হোথায় চলেছে যুদ্ধ বড় ভয়ংকর।
রাক্ষস না জানি সাজি আসিয়াছে কত,
ক্ষেপিয়া ধাইছে তারা পর্বতের মতো।
বজ্রের সমান পড়ে বানরের চড়,
তাহাতে রাক্ষস মরে করি ধড়্‌ফড়্‌।
কুম্ভ নামে এক বেটা যুদ্ধ করে ভারি,
দ্বিবিদ, অঙ্গদ গেল তার কাছে হারি।
এমন সময় সেথা সুগ্রীব আসিয়া,
কুম্ভের ধনুকখানি লইল কাড়িয়া।
দুজনে তখন খুব হল হুড়াহুড়ি,
সুগ্রীব ফেলিল তারে সাগরেতে ছুঁড়ি
ভিজিয়া-তিতিয়া বেটা উঠে তারপর,
সুগ্রীবের বুকে কিল দিল ভয়ংকর।
তখন সুগ্রীব তারে দিল এক কিল,
গুঁড়া হল কুম্ভ তায় হয়ে তিল-তিল।
রাগেতে কুম্ভের ভাই নিকুম্ভ তখন,
পরিঘ লইয়া ধায় অসুর যেমন।
ঠেকিয়া হনুর বুকে সে পরিঘ তার,
বালির হাঁড়ির মতো হয় চুরমার।
রোষেতে নিকুম্ভ তায় ধরি হনুমানে,
টানিয়া চলিল তারে লয়ে লঙ্কাপানে।
হনু তারে এক কিল মারিল যখন,
কুঁজো হয়ে গেল বেটা ‘হ’-এর মতন।
তারপর হনু তার বুকে হাঁটু দিয়া,
মহারোষে মাথা তার ছিঁড়িল টানিয়া।
পরে যে আইল, তার মকরাক্ষ নাম,
হাসিতে-হাসিতে তারে মারিলেন রাম।
আবার সে ইন্দ্রজিত এল তারপরে,
লুকায়ে মারিল বাণ সবার উপরে।
রোষে রাম কন, ‘‘আজ মারিব ইহারে,
দেখিব কোথায় গিয়া বাঁচিতে সে পারে।”
তাহা শুনি ইন্দ্রজিত সেথা হতে গিয়া,
মায়ার পুতুল এক এল রথে নিয়া।
সীতা নয়, কিন্তু তাহা ঠিক তাঁরই মতো
“হা রাম!” “হা রাম!” বলি কাঁদিল সে কত
চুল ধরে ইন্দ্রজিত নিয়ে এল তারে,