পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ আমি তারপর নদীর জলের একেবারে ধারে গিয়ে বসলুম। লম্বা শীল ও ফুল ফুটেচে, এপারে ঘন সবুজ গাছপালা, নদীর জল আবিৰ্দ্ধ কোরে ঘুরচে-বেশ লাগচে । দিলীপের সঙ্গে সেদিনকার সেই তর্ক মনে পড়লো। থিয়েটার রোডে ওর বাড়ী বসে তর্ক করেছিলুম ওর বই নিয়ে। একজন চাষা আঞ্জ হাট থেকে ফিরবার পথে গল্প করছিল--নতা যদি বেশি। হয়েটে, তবে আর ঝিঙে তাতে ফলবে না । তার সেই গল্পষ্ট মনে করাচি । এই গ্রামের সত্যিকার জীবন-মটীর সঙ্গে সব সময়েই এদের যোগ । মাটির সঙ্গে যোগ হারালে, গাছপালার সঙ্গে যোগ হারালে এর

  • {5 म;

বড় বড় বঁাশঝাড়ু, কত কি বৃক্ষলতা, বাট বছর পরে যখন আমি থাকবে না, তখনও ওরা থাকবে, হয়তো খুকুও অতি বুদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে । তখনও ইছামতীতে এমনি ঘোলার ঢল নামর্বে, ধনশিৰ্মিতলার ছেলে কত ফুল নিতে আসবে, হাসিধে, খেলত্ত্বে, জ্বল ছুড়ধে ধেমান একদিন আমরাও করেছিলুম। ،صn *عتبہ ‘‘* ش খুকুন্দর হ:সাতুম, “ভাল কি মন্দ ? মন্দ ঠাইলে তো গন্ধ ঠাইত এই কথাটা পূর্ণ বঙ্গের সুরে বলে। এবার গিয়ে মনে হোল এমন বর্ষা-সঞ্জল দিনের গভীর আনন্দ কোনো বছর এর আগে পাই নি ! এ যেন একটা স্বপ্নের মত কেটে গেল-এত সুন্দর সকল সন্ধ্যা ! ফাল্গুন মাসে যখন শালমঞ্জরা নিয়ে গিয়েছিলুম, বা যেধার মিযে দেখি উড়ের তত্ত্ব বয়ে নিয়ে গিয়ে ভাত খাচ্ছে, সে সব দিনের ঘটনা তো এখন পুরোনো মনে হয়।--Fresh, c, yet yo৷g ! দিন গুলির মধ্যে তাজা আনন্দ তো থাক চাই-ই, আনন্দের নব নব সৃষ্টি স্ৰষ্টামনের প্রাণ-শক্তিরই পরিচয় দেয় । ১৬১