পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকণ ঘুমিয়ে উঠে বিকেলে কালীর বাড়ী গেলুম। ওরা হাটে গেল, আমি আমাদের ঘাটে এসে বসলুম-ওখান থেকে নৌকো করে কুঠার মাঠে এসে ঘাসের ওপর বনাসিম ঝোপের ছায়ায় বসে সুপ্রভার পত্ৰখানা আবার পড়ি। সুপ্ৰভা কোথায় কতদূরে আজি! কল্যাণী, - ওর কথাও মনে হয় । এরা সব চলে গেল, তাই ভগবান যেন এই স্নেহময়ী মেয়েটকে পাঠিয়ে দিয়েচোন। আবার দু’ শনিবার পরে তবে ওর সঙ্গে দেখা হবে। জন্মাষ্টমীর ছুটীতে ঘাটশিলা যাবো । সুপ্রভাকে লিখেচি সেদিন সেখানে পত্র দিতে । সন্ধ্যার ট্রেণে চলে আলবো । হাট থেকে বৃদ্ধ মুসলমানের ফিরচে আমাদের গায়ে। কারো মাথায় ধামা, কারো মাথায় ঝুড়ি। সবাই জিগ্যেস করে-বাৰু, কবে অ্যালেন ? আরামডাঙার আবদুল, সুন্টুর স্যা -সবাই । গোপালনগর স্টেশনে অনেকক্ষণ বসলুম ; কত নক্ষত্র উঠচে --আঞ্জ। সারাদিন পরিপূর্ণ শরতের রৌদ্র। বনগায়ের কাছে ট্ৰেণ আসতেই কল্যাণীর কথা মনে হোল। একবার মনে ফ্লোল নেমে ওর সঙ্গে দেখা করে কাল সকালের ট্রেণে স্বাবে । মেসে এসে সেবার পত্ৰ পেলুম। " এবার ভাল লেগেচে বঁওড়েঃ ধারের বটতলায় বসা, কুঠার মাঠে ছায়াগ্নিগ্ধ ঝোপটী, মরগাঙের পাতা, এবেলায় কনসিম ঝোপের ছায়ায় ঘাসের মাঠে বসা, সুপ্রভার চিঠি পড়া, কল্যাণী ও খুকুর চিন্তা। আর কালকার রাত্রের সেই ফুটফুটে জোৎস্না । কাল কঙ্কল্পত পৰ্যন্ত চড়কতলার মাঠে ছিলাম, ফণি কাকা, গজন, কালো পাচু, ফকিরীচাঁদ সবাই গল্প করলুম ! কাল রাত্রে জেলে পাড়ায় কৃষ্ণ-যাত্ৰা হবার কথা ছিল, সকলে জিগ্যেস করচে-কখন বসবে যাত্ৰা ? ক্ষুদ্র জগতের ক্ষুদ্র আমোদ R