পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ গত রবিবারে বনগ্রাম সাহিত্য-সম্মেলন হয়ে গেল । তার আগের দিন আমি, কল্যাণী, কানু, বেনু সব বেরিয়ে চাপবেড়েতে, ঘেটুফুল দেখতে গেলুম-ওরা সব খাবার তৈরী করে নিয়ে গেল। কি সুন্দর ঘেটুফুল ফুটচে চাপাঝেড়ের ঘন জঙ্গলের মধ্যে মাঠের ধারে । বিকেল বেলা, আমরা বিলের মধ্যে দিয়ে মাঠে বনের ছায়ায় বসলুম-সবাই মিলে চা ও খাবার খেলুম। ওরা সব ছুটোছুটি করলে। কোকিল ডাকটে বনে, নীল আকাশ, ভারী আনন্দ পেলুম সেদিন । সাহিত্য-সম্মেলন হোল তার পরদিন। গজেন, হরিপদ দা ও খুকু এল-ওদের চা ও খাবার খেতে দিলুম। নববর্ষের আজ প্রথম দিন। গত বর্ষে অনেক নতুন ঘটনা ঘটে গেল । সুপ্রিভার বিবাহ ও আমার বিবাহ তাদের মধ্যে দুটী প্রধান ঘটনা। পূৰ্বের জীধন একেবারে বদলে গিয়েচে । আজ বনগা থেকে এলুম রাত ন’টার ট্ৰেণে । কাল বারাকপুরে চড়ক দেখতে গিয়েছিলুম। অনেক দিন পরে । আমি, গুন্টুকে ও নদু-তিন জনে যাই । অনেকদিন আগের মত চড়কতলায় কাদামাটি দেখলুম। শিবের জন্যে ধান ছাড়ানাে। বাড়ীর পেছনে বাঁশতলায় বেড়াতে গিয়ে তেমনি শুকনো ফলের বীজের গন্ধ, পাখীর ডাক । তেমনি কোকিল ডাকচেযেন গোটা জীবনটা সামনে পড়ে আছে মনে হোল ! বাবা ও মাও যেন अांgछ्न ! বার্ণপুরে সাহিত্য-সম্মেলনে ও-সপ্তাহে কল্যাণীকে দিয়ে গিয়েছিলুম। সেখানে একদিন ওরা মোটর নিয়ে রতিবাটি কয়লার খাদ দেখাতে নিয়ে গেল আমাদের । জীবনে এই প্ৰথম কয়লার খাদ দেখা হোল। বিভূতি মুখুয্যেও সঙ্গে ছিল। ܕܬ ܲܪ