পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Α উৎকণ * ۔۔ حدہ.حہ حہ۶“ বারাকপুরে কল্যাণী ও আমি রোজ নদীৰ ঘাটে নাইতে ঘাই श्से ওপারে মাধবপুরের চরের দৃশ্য বড় সুন্দর। অন্তদিগন্থের নানা রঙে রঙীন মেঘস্তুপ ভরা আকাশ যখন মাধবপুরের চরের ওপর ঝুকে থাকে, তখন সত্যই অদ্ভুত শোভা হয়। এ সময় এখানে আর এক দৃশ্য। বিলবিলের জলে সকালে ন'দিদি। কাপড় কাচচ, খয়েরখাগী গাছে কঁাটাল পাড়া হচ্চে খুড়ীমাদের, সাদা সাদা তেলাকুচা ফুল ফুটেচে খুকুদের লেবু গাছটায়, আমার ঠেস বেঞ্চির পাশে-বেশি পরিচিত দৃশ্য। তবে এ সময় আষাঢ় মাসের ২১শে পৰ্যন্ত কখনো বারাকপুরে আসিনি। ৭৮ই আষাঢ় চলে যাই ফি বছর। ১৯২৮ সালে কেবল ছিলাম--তারপর আর থাকিনি। যে বছর বাের্ডিংয়ে *{ তার আগের বছর ছিলাম। বারাকপুরে বর্ষা দিন যাপনের সৌভাগ এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে কখনো হয় নি। গৌরীর কথা কাল রাত্ৰে মনে পড়লো। কল্যাণীর কাছে গৌরীর কথা বল্লম । এই সময় আমরা কি করতাম, কাল ছিল সেই দিন, যেদিন বহুকাল আগে আমি মাঝের গা থেকে হেঁটে এসেছিলুম, গৌরীকে প্রথম নিয়ে এসেছিলুম এই গায়ে। * কল্যাণীকে কোলাঘাটে নিয়ে যাবাে সামনের শনিবারে। ‘ও এখন চার-পাচ মাস সেখানে থাকবে । অনেকদিন পরে আকাঙ্গিক্ষত বারাকপুরের জীবনকে আবার ফিরিয়ে পেয়েচি। বাল্যদিনের পরে এই আবার । এখানে সংসার করাচি বন্ধ দিন পরে। নতুন সংসার নতুন ঘর-কন্ন, , এই চেয়ে এসেছিলুম। বহুদিন থেকে। এখন আমি জীবনে দর্শক মাত্র নই, জনৈক অভিনেতাও বটে । SS,