বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο Ου উhকলে শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য দেবী প্রভৃতি দেবতাসমূহ দৰ্শন করিয়াছিলেন। তিনি ভুবনেশ্বরে দেবাদিদেব ত্ৰিভুবনেশ্বর ও অন্যান্য লিঙ্গ দৰ্শন করেন। পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে হরিনামামৃত্যুরসোল্লাসে এবং ওঁকাররূপীজগন্নাথদর্শনসুখে সর্বদ নিমগ্ন থাকিলেও অন্যান্য দেবমন্দির ও দেবদর্শন করিয়া তিনি যে ভূদেবীকে ভক্তিময় নয়নজলে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। তাহার চরিতলেখকেরা—মুরারি, বৃন্দাবনদাস, শ্ৰীকৃষ্ণদাস, কবিকর্ণপুর ও জয়ানন্দ মিশ্র কিছুই বলেন নাই। এরূপ স্থলে পুরীর অন্যান্য দেবমন্দিরাদির কথা অপ্রাসঙ্গিক মনে হইতে পারে ; কিন্তু ষোড়শ খৃষ্ট শতাব্দীর প্রথম ভাগে হিন্দুরাজচুড়ামণি প্রতাপরুদ্রের রাজত্বকালে পুরুষোত্তম ক্ষেত্রের অবস্থা বর্ণনীয়। প্ৰতাপরুদ্রের মৃত্যুর অনতিপরেই উৎকলে হিন্দুরাজত্বের লোপ হইয়াছিল। মুসলমানেরা উৎকলের মোগলবন্দিপ্রদেশে অনুন দেড় শত বৎসর রাজত্ব করিয়াছিল। পরে মহারাষ্ট্রীয়গণ হিন্দুরাজত্ব পুনঃ সংস্থাপন করিয়াছিল, কিন্তু উনবিংশ খৃষ্ট শতাব্দীর প্রারম্ভেই সে রাজত্বের শেষ হইয়াছিল। শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যের সময়ের পর পুরীর অবস্থার অনেক পরিবর্তন হইয়া থাকিবে ; কিন্তু পঞ্চতীর্থাদির বিশেষ পরিবর্তন হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না । পুরীর পঞ্চতীর্থ বহুকালাবধিই দর্শনীয়। কতকগুলি মঠ পরে স্থাপিত হইয়া থাকিবে। ইংরাজিদিগের আমলে রাস্ত ঘাটের অনেক পরিবর্তন হইয়াছে, নূতন নূতন ঈমারত হইয়াছে, কিন্তু হিন্দুর দেবমন্দিরাদির স্থাপন বা প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের বিশেষ পরিবর্তন না হওয়াই সম্ভব। বেঙ্গলনাগপুর রেলওয়ে খোলার পর পুরীর যাত্রীসংখ্যা অনেক বেশী হইয়াছে। পুৱী ক্রমশঃ সমুদ্রতীরস্থ স্বাস্থ্যকর স্থান হইতেছে, কিন্তু মোটে ভক্তির পরিমাণ বেশী হইয়াছে বলিয়া বােধ হয় না। নূতন মন্দির প্রতিষ্ঠার কোন বিশেষ লক্ষণ (थ शांश ना ।