বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >२१ ] তদ্রুপ সৃষ্টি-প্রবাহে ভাসমান জীব ও জন্ম পরম্পরায় জৰ্জর হইতে থাকে। নদীর আবৰ্ত্তে পতিত কীটকে যেমন কোন কৃপালু ব্যক্তি দয়াৰ্দচিত্ত হইয়া যদি তীরে তুলিয়া দেন, তাহা হইলে সে কীট যেমন তীরস্থ তরুর ছায়ায় গিয়া বিশ্ৰাম লাভ করিয়া, ক্লেশ-পারাবার হইতে রক্ষা পায়, তদ্রুপ জন্মাবৰ্ত্ত প্ৰপীড়িত সৃষ্টিসাগরে ভাসমান জীবনিবাহ পরমকারুণিক গুরুর সাহায্যে আত্মজ্ঞানরূপী অবিনশ্বর তিরুর শান্তিচ্ছায়ায় বিশ্রান্ত হইয়া, সাংসারিক ক্লেশপরম্পরা হইতে নিস্কৃতি লাভ করে । এই তিন অবস্থা জীবের স্বাভাবিক। তাঁহাই ধৰ্ম্ম, যাহা এই ক্রিয়ার স্বাভাবিক নিয়মে বাধা না জন্মায় । এবং তাহাই অধৰ্ম্ম যাহা এই স্বাভাবিক নিয়মে বাধা প্ৰদান করিয়া থাকে। স্মৃতি বলেন--- “ধৰ্ম্মে রক্ষতি রক্ষিতো ননু হতে হান্তি ধ্রুবং প্রাণিনে হন্তব্যে ন তত: স এবং শরণাং সংসারিণাং সর্ববথা ।” ধৰ্ম্ম রক্ষিত হইলে রক্ষা করেন, হত হইলে অর্থাৎ ধৰ্ম্ম রক্ষা না করিলে, ধৰ্ম্ম হত হইয়া, প্ৰাণীগণকেও হত করেন । অতএব ধৰ্ম্ম রক্ষা করা কীৰ্ত্তব ! সংসারিগণের ধৰ্ম্মই এক मांडी भ8 । এই পদ্যোল্লিখিত ধৰ্ম্মট একমাত্র সেই সনাতন ধৰ্ম্মের সমষ্টি স্বরূপকেই লক্ষ্য করিতেছে । সংসারী বলিতে কেবল এক দেশবাসী বা এক ধৰ্ম্মাবলম্বী কোনও একটা সম্প্রদায়কে বুঝায় না ; অবশ্য একটী বিরাটু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করিতেছে