বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 a গানগুলি স্বভাবতই মনে আসিয়া উদিত হয় । তাই বলিতেছিলাম, বাহ্যিক ধৰ্ম্মের সহিত আন্তর ধৰ্ম্ম ঘনিষ্ট সম্বন্ধে সম্বন্ধ। ইহা যে কেবল আমরা সিদ্ধান্ত করিতেছি, তাহা নহে। পঞ্চদশীকার বিদ্যারণ্য মুনিও স্পষ্টতঃ বলিয়াছেন – “ন হৃদ্যাকার মাধাতুং বাহাস্যাপেক্ষিতত্ত্বতং” হৃদ্যাকার অর্থাৎ আন্তর পদার্থ প্ৰস্তুত করিতে বাহের অপেক্ষা অবশ্যম্ভাবী । অতএব ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বাহাড়ম্বর দেখিয়া সন্দিহান হওয়া অথবা উপহাস করা বিজ্ঞোচিত কাৰ্য্য, নহে । সুন্নান, আহ্নিক, শৌচ, সদাচারাদি যাহা কিছু নৈষ্ঠিক হিন্দুর বাহ্যিানুষ্ঠান সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়, সেই সমস্ত অনুষ্ঠান হইতে আরম্ভ করিয়া অন্তরে অন্তৰ্য্যামীর সাক্ষাৎকার পর্যন্ত কোনটীই ধৰ্ম্মবহির্ভূত নহে, সমস্তই ধৰ্ম্ম । সাধারণতঃ আজকাল নব্যশিক্ষিত বাবুদিগকে এই বাহিক ধৰ্ম্মের প্রতি কটাক্ষ করিতে দেখিলে যুগপৎ ক্ষোভ ও বিস্ময় হয়। বৈষ্ণবের সর্ববঙ্গব্যাপ্ত হরেকৃষ্ণ নামের ছাপ দেখিয়া বাবুৱা বলিয়া থাকেন,-আহা বৈষ্ণব ঠাকুরটীি যেন “ডেভুলেটার আফিসের ফেরৎ চিঠি ।” হাতে নামের ঝোলা দেখিলে বলেন “কুঁড়াজালী” মুণ্ডিত মুণ্ড-তাহাতে শিখাস্পৰ্শী তিলক ও ছোটুহীন বহির্বাস দেখিয়া বলিয়া থাকেন, বাবাজী যাচ্ছেন না আছেন ?” ইত্যাদি বিবিধ উপহাস করিয়া থাকেন। কথাগুলি হাস্তোদ্দীপক হইলেও ধাৰ্ম্মিকের দুঃখজনক সন্দেহ নাই। আমরা বলি ব্যবসাদার অর্থাৎ সাজা বৈষ্ণবকে বাদ দিয়া ইহঁরা যদি to