বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २७ } এই সাতটী বাসন বলিয়া নির্বাচিত করেন। বািসনী ব্যক্তির নাশ যে অবশ্যম্ভাবী, তাহার প্রমাণাৰ্থ তাহারা দ্বাত্রিংশ।ৎ পুত্তলিকার। এই পদ্যটীি দৃষ্টান্তস্বরূপে ব্যবহার করেন। দূতাৎ ধৰ্ম্মসুতঃ পলাদিহবকে মদ্যাদষ দোৰ্ণন্দনাঃ। চােরঃ কামবশাম্মা গান্ত করণাৎ স ব্ৰহ্মাদত্তে নৃপঃ ॥ চৌরস্থাৎ শিবভূতিরন্য বনিতা সঙ্গাব্দশাস্যো হঠাৎ ৷ একৈক বাসনাহতা ইতি নারাঃ সৰ্বৈর্ণ কে নশ্যতি ||” ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির অক্ষ ক্রীড়ায়, ধৰ্ম্ম বক মাংসলোভে, যদুনন্দনগণ মদ্যপানে, চোর (সুন্দর) কামবশে, রাজা মৃগয়ায়, শিবভূতি চৌম্যে এবং অন্য বনিত সঙ্গীবাসেচ্ছায় লঙ্কেশ্বর দশানন বিপন্ন হইয়াছেন । ইহারা এই এক একটি মাত্র ব্যসনে এতাদৃশ অবস্থায় উপনীত হইয়াছিলেন। সব কয়টা একাধারে বৰ্ত্তমান থাকিলে কে না বিনন্ট হয় ? সৎশিক্ষার অভাব, চাটুকারের চাটুক্তি, অসৎ সংসর্গ ও বাসন বা বিলাসিত এই চারিটাই ভূস্বামিগণের অধঃপতনের সাক্ষাৎ ও পরম্পরায় অব্যভিচার কারণ সন্দেহ নাই । কারণ সৎ শিক্ষার অভাব বশতঃ সদসদ্বিবেক লুপ্ত হয়। সদসদ্বিবেক না থাকিলে চাটুকার আর প্রকৃত হিতৈষীর পরিচয় শক্তি তিরোহিত হইয়া থাকে । তখন তোষামোদ পরায়ণ নরপিশাচবর্গের আপাতমধুর বাগজালে আত্মপ্রশংসালোলুপ অন্তঃকরণটী আবদ্ধ হয়। চাটুকারের সংখ্যা একে একে বৃদ্ধি পায়। প্ৰতিহারী হইতে আরম্ভ করিয়া প্রধান অমাত্য পৰ্য্যন্ত সকলেই