পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

he শ্ৰীভগবদগীতার ঈদৃশ সমধিক সমাদর দেখিয়াছেন বা শুনিয়াছেন কি ? আজি ভাষানুবাদের প্রসাদেই আমাদের অমূল্য রত্ন আধ্যা ত্মিক শাস্ত্রের অনন্যসার সেই “গীতা” প্ৰতিগুহে বিরাজিত । পূৰ্ব্বে সংস্কৃত গ্রস্তের নাম শুনিলেই মনে যেন কি একটা ভয় আসিয়া অন্তঃকরণকে পশ্চাৎপদ করিয়া তুলিত। ভাষানুবাদ রূপ পরিস্কৃত পথের পথিক চাইতে পরিয়া অন্তঃকরণ আজ সে ভয়ে ভীত নহে। ভাষানুবাদকে সহচর করিয়া শাস্ত্ৰ-বারিধির গভীরতম প্রদেশ হইতেও সারা রত্ন সংগ্রহে সাহসী হইয়াছে । ভাষান্মবাদ রূপ রজঃ সংঘর্ষণে চিত্তদর্পণের তাজ্ঞান কালিমা আর নাই । এইরূপে ভাষানুবাদের কয়টা প্ৰশংসার কথা বলিব ? জোর করিয়া বলিতে পারি জগৎ যদি তত্ত্বপিপাসু হইয়া থাকে। তবে এই ভাষানুবাদেই । জগৎ যদি উন্নত হইয়া থাকে, তাহা ভাষানুবাদের অনন্য পরিণাম মাত্র। কি কায়িক, কি বাচিক, কি মানসিক সমস্ত উন্নতির ভাষানুবাদই অন্ধুর। পাঠক ! ভাষানুবাদ-প্ৰিয়গণের ভাষানুবাদ-প্ৰশস্তিত শুনিলেন, প্রতিকূলবদিগণ কি বলেন শুনুন। ভাষানুবাদদ্বেষীগণ বলেন, ভাষানুবাদ সম্বন্ধে যে কয়েকটি প্ৰশংসার কথা বলা হইয়াছে, সব কয়টাই ভ্ৰান্তের প্রলাপ বা অপরিণামদৰ্শিতার অনন্য ফল। আৰ্য্যগণের মতে তাহাই অনিন্দিত ও আশ্ৰয়নীয় যাহা বলবৎ অনিষ্টের অননুবন্ধী হইয়া ইষ্ট ফল প্ৰদান করে। অর্থাৎ যাহার। আপাতমধুর ভাবে বিমুগ্ধ হইলে পরিণামে ভয়ঙ্কর অনিষ্টের আশঙ্কা অনিবাৰ্য্য তাদৃশ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করা