বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vs অসংখ্য অবস্থা থাকিলেও মানবের স্থূলতঃ বালা, যৌবন ও বাৰ্দ্ধক। এই অবস্থা তিনটী লইয়া অল্পাধিক আলোচনা করিলে, আবান্তরীণ বহুবিধ অবস্থা। আপাততঃ আলোচিত হইতে পারে । ইহা ব্যতীত মানবের সর্ব আদিম ভ্ৰমণাবস্থার কথা আলোচনা করা ও সঙ্গত মনে করি । আজকার প্রবন্ধে আমরা মানবের সর্ব আদিম ভ্ৰণাবস্থা হইতে আরম্ভ করিয়া, শিশুর পাঠারম্ভ পৰ্য্যন্ত আলেঃচনা করিব। ক্রমে যৌবন ও 'বাৰ্দ্ধক্যের কথা আলোচনা করা যাইবে । প্ৰায় মনে হইয়া থাকে, গর্ভাবস্থায় জরায়ু-শায়িত শিশুর ন্যায় সুখী আর কেহই নাই । তাহার মায়া নাই, মমতা নাই, অভাব নাই, অভিযোগ নাই, কামনা নাই সুতরাং দুঃখ, সুখ, মোহ কোন ও জঞ্জালই নাই । সে একজন নির্বিকল্প সমাধিস্থ মহাযোগী। তাহার চিত্ত নিৰ্বাত দীপের ন্যায় নিষ্কম্প-নিরন্তরায় । অতএব যদি সুখী হয়ত মানব এই অবস্থাতেই প্ৰকৃত সুখী । কথাটা আপাততঃ বিশ্বাস্য সন্দেহ নাই, পরন্তু গর্ভাবস্থায় শিশুর ক্ৰমিক অবস্থা যে কিরূপ, তাহা আমাদের অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া বিবেকের কার্য্য নহে ; সর্বজ্ঞ বেদ অথবা তদঙ্গ উপনিষদ কি বলেন, তাহা দেখা উচিত । গর্ভোপনিষদ বলেন, -- সপ্তধাতুকমিতি কস্মাৎ শুক্লো রক্তঃ কৃষ্ণে ধূমঃ পীতঃ কপিলঃ পাণ্ডুরঃ ইতি। যথা দেবদত্তস্য দ্রব্যাদি।