পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ] এই প্ৰকার চিন্তা করিয়া গৰ্ভস্থ শিশু যোনিদ্বারে আসিয়া সমাগত হয়। তখন জরায়ুর পীড়নে অতিশয় দুঃখ পাইয়া জন্ম লাভ করে। সেই সময়ে বৈষ্ণবী মায়া দ্বারা বিমুগ্ধ হইয়া জন্ম-মরণাদি স্মরণ করে না এবং শুভাশুভ কৰ্ম্মও আর জানিতে পায় না । বেদে যদি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়, ব্যাস, বশিষ্ঠ কপিল এবং শঙ্করাদি যদি আমাদের নিকট আসার অপদাৰ্থ বলিয়া প্ৰতিপন্ন না হইয়৷ থাকেন, তাহ! তইলে উপযুক্ত বেদবাক্য । লষ্টয়া সুধীগণ বিবেচনা করুন, পূর্বোক্ত সেই সর্বজঞ্জালবিহীন সমাধিস্থ গর্ভস্থ শিশুটিা ক'ত সুখী । জন্যজনক সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিয়া, ব্যবহার জগতে বুদ্ধি পরিচালনা করিয়া দেখিলে, যাহার জীবন অন্যের জীবনের সত্তার অর্পানী, অন্যভুক্ত অন্নারসে যাহার প্রাণ রক্ষা হয়, সে যদি সুখী। হয় তা অন্নদাস অপদস্থ কেন ? বিস্মৃত্ৰিমালাকুল গৰ্ভাশয় যদি সুখের স্থান হয় ত বিষ্ঠা কৃমি বিরাগের পাত্র কেন ? এক কথায় যে যে বস্তু অস্পৃশ্য অমেধ্য বলিয়া দূর হইতে পরিষ্কার করি, সেই সেই বিষয়ের সংস্রবকালে যদি মানব প্রকৃতি সুখী হইবে, তবে দুঃখের স্থান কোথায় জানি না । বলিতে পারেন কোনও সুখ কি দুঃখ সৰ্দবাদী সম্মত হয় না, হইবার নহে। একে যাহাকে অমৃত বলিয়া অনুধাবন করে, অন্যে তাহাকে হলাহল বলিয়া দূর হইতে পরিত্যাগ করিয়া থাকে। সুতরাং আমাদের বুন্ধিতে