বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস ক্রোশ রাস্তা আমি ঠিক যেতে পারব। এই যে সেবার আমরা বারাকপুর হেঁটে গিয়েছিলাম ! তেমন কষ্ট ত হয় নি। তবে আসবার সময় রেলে এসেছিলাম। মা হেসে বললেন, মেদিনীপুর থেকে আমলাবেড়ে পৰ্যন্ত তোমার জন্য বারাকপুর ট্রাঙ্করোডের মত রাস্তা ত কেউ তৈরী করে রাখে নি। রমেশের কাছে শুনেছি, মাঠের মধ্য দিয়ে অমনি কোন রকমে পায়েচলা পথ। সেই পথেই অতি কষ্টে গরুর গাড়ী চলে। আর এক কাজ করলে পারবে । রবিবার সেখানে গিয়ে যদি ক্লান্ত হ’য়ে পড়, তা’ হ’লে সেদিন নাই বা ফিরলে । রাতটা সেখানে বিশ্রাম ক’রে, সোমবার সকালে ফিরলেই পারবে । আমি বললাম, তার জন্য ভাবছি নে। যেতে পারব। গরুর গাড়ীতে যেতে যদি কষ্টবোধই হয়, মধ্যে মধ্যে গাড়ী থেকে নেমে হেঁটে গেলেই হবে । কিন্তু, রমেশ যদি যেতে না চায়, তা’ হ’লে কি করব। মা বললেন, জোর ক’রে নিয়ে যেতে হবে ব’লেই ত তোমাকে পাঠাচ্ছি। তোমার কথা সে ফেলতে পারবে না। নিতান্তই যদি সে জেদ করে, তা’ হ’লে তুমি বোলো, না গেলে তুমি আমার সঙ্গে, আমি একলাই যাব। এই ব’লে তুমি গাড়ীতে উঠে বসলে রমেশ তোমার সঙ্গে না গিয়েই পারবে না । আমি বললাম, তা’ যেন হ’ল, তারপর সেখানে গিয়ে কি করতে হবে ? মা বললেন, রমেশের মা ও দিদিকে আমার নাম ক’রে বলবে যে, তাদের কলকাতায় গঙ্গাস্নান করবার জন্য নিয়ে যেতে তোমাকে আমি পাঠিয়েছি। তাদের কলকাতায় আসতেই হবে। তাতে 8ዓ