বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস দিদি বললেন, না ভাই, বাবা এক পয়সাও ধার রেখে যান নি। তিনি এই বছরখানেকের বেশী হ’ল মারা গিয়েছেন, এর মধ্যে আমাদের ধার করবার কিছু দরকার হয় নি। যা’ সামান্য কয় বিঘে জমি আছে, নিতান্ত অজন্মার বছরেও ত’তে যা” ধান হয়, তাইতে আমাদের বেশ চলে যায়। যোবার ভাল জন্মায়, সেবার কিছু ধান আমরা বেচেও থাকি । সামান্য গরীব মানুষের যা” দরকার, তার অভাব কোন দিনই হয় না। তবুও রমেশের কি জেদ, তার পাচ-শ টাকা চাই-ই। বাবা মারা যাবার পরই তার মাথায় এই পাচ-শ টাকার খেয়াল চেপেছে। তাই সে চাকরী করতে গিয়েছে। এখন দেখছি, রমেশ ভালই করেছে। তার এই খেয়ালের জন্যই ত তোমাদের পেয়েছি। এ কি कन् व्नांड प्लांशे ! আমি বললাম, এ খেয়ালের কারণ যে কি, তা আমরা মোটেই জানতে পারি নি। মনে করেছিলাম, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। এখানে খরচ পাঠাবার কথা বললে রমেশ বলে, দরকার হবে না ; যা” জমাজমি আছে, তাতেই বাড়ীর খরচ চলে’ যাবে। তার কাছে শুনেছি, পাচ-শ’টাকা জমা হ’লে সে চাকরী ছেড়ে দিয়ে বাড়ী আসবে, আর চাকরী করবে না। কি করবে ও টাকা দিয়ে, তা” বুঝতে পারিনে। দিদি বললেন, আমাদের কাছেও সে ঐ কথাই বলে, বিশেষ किकूरे दएल न। রমেশ তখন কতকগুলো পুটি মাছ নিয়ে এসে বললে, ছোড়-দা” আপনার অদৃষ্ট নেই, কি করব, একটাও বড় মাছ পাওয়া গেল না। আমি বললাম, বেশ হয়েছে, ঐ ছোট মাছেই হবে। তারপর মা, রমেশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম দেখতে বা’র হলাম। O