বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস তখন আর মনে থাকে না। আজ এই একটু আগেই ছোড়-দা’র ঘরে বসে” কথাটা মনে হ’ল, তাই এই অসময়েই এসেছি। মা, আমার কথা শোনাবার এখন আপনার সময় হবে তা ? গৃহিণী হেসে বললেন, তোমার কথা শোনবার জন্য আমি সব সময়ই প্ৰস্তুত রমেশ ! রমেশ বলল, আচ্ছা মা, এই দেড় বছর কাজ করে” কি আমার পােচ শ” টাকা জমে নি ? গৃহিণী বললেন, কেন, তুমি কি তোমার টাকার হিসাব রােখ নি। রমেশ এই কথা শুনে আমার দিকে চেয়ে বলল, শুনেছেন বাবু, আমার মায়ের কথা । এমন কথা ত কখনও শুনি নি যে, ছেলে টাকা এনে মায়ের কাছে রাখবে, আর তার হিসাব লিখে রাখবে। আমি বললাম, কেমন, ঠিক জবাব মিলেছে তা। গৃহিণী হেসে বললেন, স্বীকার করছি, কথাটা বলা আমার ঠিক হয় নি। সত্যিই তি, মায়ের কাছে ছেলে টাকা এনে দেবে, তার আবার হিসাব সে রাখতে যাবে কেন ? নরেশ পরেশ কতদিন কত টাকা এনে দেয়, তার হিসাব কি তারা রাখে ? আমিও হিসাব রাখি না । কিন্তু, তোমার টাকার হিসােব আমাকে রাখতে হয়েছে। কেন, তা” শুনবে ? তোমার ঐ পাঁচ শ” টাকা জমাবার খেয়ালের জন্য । তোমাকে সেই হিসাবের খাতা এনে দেখাব বাবা । রমেশ বলল, মা, আপনার আজ কি হয়েছে ? আমি কি হিসাব দেখতে চেয়েছি ; আমি শুধু জিজ্ঞাসা করছিলাম, পাঁচ শ” টাকা কি এই দেড় বছরে জমে নাই ? গৃহিণী বললেন, আমি প্ৰতি মাসেই একবার করে” হিসাব করি وU\{