পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr o উনপঞ্চাশী আছি-কিন্তু কই, আমার শরীরটাকে ত দেখতে পাচ্ছিনে \ ভাবলুম স্থাপন দেখছি।-কিন্তু না, দিব্যি টন টন করছে জ্ঞান। মনে হতে লাগলো শূন্যে কোথায় সে। সে করে’ উড়ে চলেছি। সেই মহাশূন্য জুড়ে’ কে ও নেই-মধু আমি, আর আমি।” ছেলেটি জিজ্ঞেস করলে-“আপনার ভয় করলো না ?” পণ্ডিতজী আর এক টিপ নস্য নিয়ে বললেন-“না ঠিক ভয় নয়, তবে সমস্ত মনটা যেন কঁাটা দিয়ে উঠলো। আর মনে হতে লাগলো, একটা কিছু ঘটবে, কিছু ঘটবে। কতক্ষণ এ রকম ছিলাম তা জানিনে, হঠাৎ একটা কান্নার শব্দ শুনে আমার যেন সমস্ত মনটা কেঁপে উঠলো। এখানে কঁদে কে ? নীচের দিকে চেয়ে দেখলাম-যেন অস্পষ্ট কি একটা দেখা যাচে । কে ও ? কান্নার শব্দটা ক্ৰমে আরও স্পষ্ট হ’য়ে উঠতে লাগলো। মনে হতে লাগলো-কার যেন দেহ, মন সব গলে গিয়ে একটি কান্নার সুর হয়ে সারা আকাশ ছেয়ে ফেলছে । কে ও কঁদে ?” ছেলেটি পণ্ডিতজীর কাছে একটু এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলে-“তারপর?” পণ্ডিতজী খানিকটা চুপ করে” থেকে বললেন-“তারপর” তারপর হঠাৎ সে কান্না চুপ হ’য়ে গেল । মামুখে চেয়ে দেখি, মহাশূন্য জুড়ে একটা জ্যোতিঃ ফুটে উঠেছেআর সেই জ্যোতিঃর মাঝখানে এক দিব্যমূৰ্ত্তি। আর তার পা থেকে একটা আলোর তরঙ্গ ছুটে গিয়ে পড়েছে পৃথিবীর বক্ষে। সেই আলোতে দেখলাম-যে কাদছিল সে কে ?”