নব। আঃ, মিছে তামাসা ছেড়ে দেও, এখন সত্তি কি বল্বে বল দেখি? এক কর্ম্ম কর, কোন একটা মস্ত বৈষ্ণব ফ্যামিলির নাম ঠাওরাতে পার? তা হলে আর কথাটি কইতে হয় না।
কালী। তা পার্বো না কেন? তবে একটু মাটি দেও, উড়ে বেয়ারাদের মতন নাকে তিলক কেটে আগে সাধু হয়ে বসি।
নব। না হে না। (চিন্তা করিয়া) গরাণহাটার কোন্ ঘোষ না পরম বৈষ্ণর ছিল?—তার নাম তোমার মনে আছে?—ঐ যে যার ছেলে আমাদের সঙ্গে এক ক্লাশে পড়্তো?
কালী। আমি ভাই গরাণহাটার প্যারী আর তার ছুকরি বিন্দি ছাড় আর কাকেও চিনি না।
নব। কোন্ প্যারী হে?
কালী। আরে, গোদা প্যারী। সে কি? তুমি কি গোদা প্যারীকে চেন না? ভাই, একদিন আমি আর মদন যে তার বাড়ীতে যেয়ে কত মজা করেছিলেম তার আর কি বল্বো। সে যাক্, এখন কি বল্বো তাই ঠাওরাও।
নব। (চিন্তা করিয়া) হাঁ—হয়েছে। দেখ, কালী, তোমার কে একজন খুড়ো পরম বৈষ্ণব ছিলেন্ না? যিনি বৃন্দাবনে গিয়ে মরেন্।
কালী। হাঁ, একটা ওল্ড ফুল ছিল বটে, তার নাম কৃষ্ণপ্রসাদ ঘোষ।
নব। তবে বেশ হয়েছে। তুমি তাঁরি পরিচয় দিও, বাপের নামটা চেপে যাও।
কালী। হা, হা, হা!
নব। দুর পাগল, হাসিস্ কেন?
কালী। হা, হা, হা! ভাল ত যেন হলো, এখন বৈঞ্চব বেটাদের দুই এক খানা পুঁথির নাম তো না শিখলে নয়।