পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা।
৩৭

তাহারা বরমাল্য অপর্ণ করিবেন। এ কারণ স্ত্রী লাভ করিতে হইলে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন হইত। ক্রমে বিদ্যার অনুশীলন এতদূর হইয়াছিল যে, কোন কোন রাণী পণ্ডিতদিগের সহিত শাস্ত্রীয় আলাপ করিতেন। কর্ণাটের রাণী এইরূপ বিদ্যার চর্চ্চা করিতেন ও কাশ্মীরের রাণী সামদেবকে কথাসরিত সাগর লিখিতে আদেশ করেন। এক বিবাহ শ্রেয়ঃকল্প ও বহুবিবাহ করা শ্রেয়ঃকল্প নহে। রামায়ণ ও মহাভারতে লেখে, এক পত্নী গ্রহণই উৎকৃষ্ট প্রথা ও উচ্চগতি প্রদ—স্ত্রীর নামই ধর্ম্মপত্নী, কারণ স্ত্রীর সহিত ঐহিক ও পারত্রিক মঙ্গল সাধনে পুরুষ নিযুক্ত থাকিবে। এক পত্নী হইলে, পুরুষ তাহাকে আপন হৃদয় সম্পূর্ণরূপে অর্পণ করিয়া তাহার সহিত বন্ধন ক্রমশঃ দৃঢ়ীভূত করিবেক। অবশেষে, স্মৃতিকারকেরা এই ধার্য্য করিলেন, যে স্ত্রী সুরাপায়ী, অধার্ম্মিক, মন্দকারিণী, অপ্রিয়া, বন্ধ্যা, চিররোগী অথবা অপব্যয়ী হইলে, অন্য স্ত্রী গ্রহণীয় হইতে পারে, কিন্তু যদি প্রথম স্ত্রী, ধার্ম্মিকা ও পীড়িতা হয়েন, তবে তাঁহার অনুমতি লইয়া দ্বিতীয় বিবাহ হইত।