পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । পচা মাংস দশ বার জনে মিলিয়া আহার করিত। রাত্ৰিতে নিদ্রাগমনের উপায় ছিল না। কারণ, মহারাষ্ট্ৰীয়ের কোন সময়ে যে তাহাদিগকে আক্রমণ করে তাহার স্থিরতা ছিল না । রাত্রির নিবিড় অন্ধকারেই হউক অথবা দিবার উজ্জ্বলালোকেই হউক, সন্ধ্যার আলোকান্ধকারমিশ্রণে হউক, অথবা প্ৰভাতের প্রথম আলোক-সমাগমেই হউক, সেই কৃতান্তানুচরগণ যখনই সুযোগ পাইতি, তৎক্ষণাৎই নবাব-সৈন্যদিগকে আক্রমণ করিত । তাহারা যেন প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়াছিল যে, নবাব আলিবর্দী খার একটি মাত্ৰ প্ৰাণীকেও মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইতে দিবে না। এই প্রকার দীর্ঘকাল ব্যাপী নিদারুণ কষ্টে নবাব সৈন্য ও সেনাপতিগণের মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটিয়াছিল। তাহারা সামান্য কথায় ভয়ানক ত্রুদ্ধ হইয়া উঠিত। বিশেষতঃ মুস্তাফা খাঁ একেবারে ক্ষিপ্তের ন্যায় হইয়াছিলেন। তাহারা মনে করিয়াছিল যে, হয় তাহারা নিরাপদ স্থানে উপস্থিত হইবে, না হয় একেবারে ইহলোক হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিবে । ফলতঃ এরূপ লোমহর্ষণ ব্যাপার নবাব সৈন্যগণ কখনও অনুভব করে নাই এবং তাহারা যত দিন জীবিত ছিল ততদিন ইহার ভীষণ স্মৃতি তাহাদিগের হৃদয়পটে সমভাবে অঙ্কিত ছিল । তাহারা বিশ্বাস করিয়াছিল যে, মহারাষ্ট্ৰীয়গণের মধ্যে যদি সুশৃঙ্খলার অভাব না থাকিস্ত, তাহা হইলে তাহারা সমস্ত ভারতবর্ষকে আপনাদিগের করতলগত করিতে পারিতি । নবাব আলিবন্দী খাঁ। বহু কষ্টে কাটোয়ায় উপস্থিত হইয়া মনে করিয়াছিলেন যে, উক্ত গঞ্জ হইতে সৈন্যগণের আহারাদি সংগ্ৰহ করিবেন। কিন্তু তাহার আগমনের পুর্বেই মহারাষ্ট্রয়ের কাটোয়ায় উপস্থিত হইয়া যাবতীয় খাদ্যদ্রব্য লুণ্ঠন ও পথিমধ্যস্থ সমস্ত গ্রামে অগ্নিদাহ উপস্থিত করে। অনেক খাদ্য দ্রব্য তা হাতে অদ্বদগ্ধ হইয়া যায়। নৰাব-সৈন্তগণ উপস্থিত হইয়া সেই অৰ্দ্ধদগ্ধ তণ্ডুলাদির দ্বারা আপনাদের ক্ষুন্নিবৃত্তি করিতে বাধ্য হয়। এই সময়ে নবাব মুর্শিদাবাদে S SSDBDDB BD DDD D DBDDDBDB D DDBkB YDODLBDB মহম্মদ{ে{