পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G2a3 s R′ G) মালায় খচিত ভূমিতলে দীপ লোক পড়িয়া ঝক ঝক করিতেছিল। ভিত্তিসংলগ্ন চিত্রাবলি সে আলোকে হাসিয়া উঠিতেছিল। আতর- “ গোলাপে প্রকোষ্ঠ আমোদিত হইয়া উঠিয়াছে। অপূৰ্ব্ব কারুকাৰ্য্যযুক্ত গালিচার উপর পুস্পমালা পড়িয়া রহিয়াছে। তাহারও গন্ধ আন্তর গোলাপের সুবাসের সহিত মিশিয়া প্রকোষ্ঠের বাহিরেও ছড়াইয়া পড়িতেছিল। বর্ষার শীতল বায়ু প্ৰকোষ্ঠমধ্যে প্ৰবেশ করিয়া তাহাকে শীতল করিয়া তুলিতেছিল ও তাহার সুবাস হরণ করিয়া ধীরে ধীরে বাহিরে অ[[সিঙে ৩ছিল । তখন জ্যোৎস্নালোকে দিগন্ত ভরিয়া গিয়াছে। দ পালোকের ভয়ে জ্যোৎস্না সে প্রকোষ্ঠে প্ৰবেশ করিতে পারে নাই । চাঁদের জ্যোৎস্না গৃহে প্ৰবেশ না করলেও, আয়েসার রূপ-জ্যোৎস। কিন্তু দীপালোকে ফুটিয়া উঠি তেছিল । গালিচার উপর বসিয়া আয়েসাসুন্দরী যেন কিছু চিন্তা করিতেছিলেন । আজ তিনি সুন্দর বেশভূষায় ভূষিত হইয়াছেন। গলদেশে পুষ্পমালা বায়ুভরে দুলিয়া দু লয়৷ নাচিতেছিল। অ্যায়েসাসুন্দরী চিন্তা করিতেছিলেন সত্য, কিন্তু এ চিন্তার কিছু নূতনত্ব ছিল । কারণ এ চিন্তা তেঁতার মুখে কালিমাপাত করে নাই, বরঞ্চ প্ৰসন্ন তায় মুখমণ্ডল প্ৰফুল্ল করিয়া তুলিতেছিল। কেন আজি আয়ে সারা ভাবা গুর ঘাঁটিয়াছে, তাত বোধ হয় সকলেই বুঝিতে পারিয়াছেন। এতদিন ধরিয়া তিনি হৃদয়ে যে সুখের চিত্র আঁকিয়াছিলেন, আজ "আশার আলোকে তাহ উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। সে আলোক যেন ফুটিয়া তাহার বদন মণ্ডলে ছড়াইয়া পড়িতেছিল । তাহার রূপ-জ্যোৎস তাহাতে ঢল ঢলা করিতেছিল । মহম্মদের আগমনে আয়েসার হৃদয় যে দুরু দুরু করিতেছিল, তাহা বোধ হয় নুতন করিয়া বলিতে হইবে না। আয়েসা প্ৰকোষ্ঠমধ্যে মহম্মদের জন্যই অপেক্ষা করিতেছিলেন। কিছুক্ষণ অতীত হইলে মহম্মদের আগমনের বিলম্ব দেখিয়া আয়েসা।