পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s: 98 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । তাৎকালিক ঐতিহাসিকগণ রামরায়কেই প্ৰকৃত রাজা বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এই সময়ে দক্ষিণ-ভারতে বিজাপুর, গোলকুণ্ডা, আহমদনগর প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাঁচটি মুসলমানরাজ্য বৰ্ত্তমান ছিল, কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে পরস্পরের সদ্ভাব থাকা দূরে থাকুক, প্ৰবল বিরোধ-বীজই পরিলক্ষিত হইতেছিল। এদিকে রাম রায় বিজয়নগরের সমস্ত 'অধিকার স্বাকবলগত করিয়াও দুরাকাজক্ষার পরিতৃপ্তি অনুভব করিতে না পারিয়া, পরস্পর বিবদমান মুসলমান সুলতানগণের মধ্যে গোলকুণ্ডার কুতুব শাহ ও বিজাপুরের আদিল শাহের রাজ্যের সীমান্তভাগ আক্রমণ করিলেন। ইহাতে উক্ত সুলতানদ্বয়ের উভয়েই স্ব স্ব রাজ্যের কিয়দংশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইলেন। এইরূপে গোলকুণ্ডার অধিকার হইতে রামঘনপুরা ও পঙ্গুল নামক প্রধান জনপদদ্বয় রামরায়-কর্তৃক বিজয়নগর সম্রাজ্যের সহিত নূতন সংযোজিত হঠল। ইহাতে রামরায়ের দুধ্বাসনানিবৃত্তি দূরে থাকুক, তিনি স্বীয় শ্বশুর কৃষ্ণদেবের দৃষ্টান্তানুসরণে সফলকাম হইয়া গর্বে স্ফীত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু ইহাই বিজয়নগরে হিন্দুরাজত্বের শেষ পিজিয়াভিযান। বিজাপুরের সুলতান আলি আদিল দেখিলেন, রাম রায় যষ্টিসংখ্যক-বন্দর-সমন্বিত বিস্তৃত ভূখণ্ডের প্ৰবল ও সমৃদ্ধ অধিপতি, তাহার সহিত প্ৰতিদ্বন্দ্বতাচরণ, তাহার কেন, কোন সুলতানের পক্ষেই সুসাধ্য নহে । সুতরাং সন্ধিসূত্রে বিজয়নগরের বিরুদ্ধে দাক্ষিণাত্যের রাজন্য বৰ্গকে সন্মিলিত করিবার জন্য, তিনি গোলকুণ্ডাধিপতি ইব্রাহিম আদিল শাহের নিকট গোপনে দূত প্রেরণ করিলেন । ইব্রাহিম এই সন্ধিবন্ধনে সন্মত হইয়া, স্বপক্ষের দৃঢ়তা সম্পাদনার্থ, আহমদনগরের সুলতান হুশেন নিজাম^াহের সহিত আলি আদিলোঁর চিরনেরূঢ় কলহনিম্পত্তির ভার স্বয়ং গ্ৰহণ করিলেন । হিন্দুগণ, মুসলমানগণের পরস্পর অনৈক্যবশতঃই, তাহাদিগের ধৰ্ম্মাচরণে,