পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ゲペ9 。 पेंडिशनिक रुिद्ध । আসামযুদ্ধে মোগলসেনা জয়লাভ করিল। সুবাদার আরাকানজয়ের উদ্যোগে ব্যাপৃত হইলেন। এই সময়ে কিন্তু পশ্চিম ভারতে ঘোর সমরনল প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল এবং সুলতান আজিমকে আরাকানবিজয়ের সংকল্প ত্যাগ করিয়া সম্রাটের আদেশে রাজপুতানায় যাত্ৰা করিতে হইল । ভারতের এই দ্বিতীয় কুরুক্ষেত্র সমরে দেশের হিন্দু মুসলমান রণরঙ্গে মাতিল। যুদ্ধের শেষে মুসলমান রাজশক্তি বিধ্বস্ত হইয়া গেল এবং তােহর । ভগ্নাবশেষ লইয়া দুই একটি হিন্দু রাজশক্তি অভু্যথিত হইলেও দেশের এরূপ বলক্ষয় হইয়া গেল যে, ঐসকল হিন্দুরাজশক্তি দীর্ঘকাল স্থায়ী হইতে পারিল না । শেষে দেশের এরূপ দুৰ্ব্বল অবস্থা দাড়াইল যে, সুযোগ বুঝিয়া বৈদেশিক ইংরাজ বণিক বিজেতা হইয়া বসিল ; ভারতে ইংরাজ । রাজশক্তির প্রতিষ্ঠা করিল। ক্রমে হীনবল হিন্দু ও মুসলমান রাজ্য সকল বিজিত করিয়া সমগ্ৰ ভারতবর্ষে আধিপত্য বিস্তার করিল। সুতরাং ঐ সময়ের সহিত ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর দূর ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে । বলিয়া সংক্ষেপে তাহার কারণ সম্বন্ধে কয়েকটি কথা এখানে বিবৃত ॐ है व् । সকলেই জানেন-মহাবীর সুলতান বাবরশাহ যুদ্ধে পাঠানদিগকে পরাভূত করিয়া ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। পাঠানেরা হিন্দুদিগের হস্ত হইতে ভারতের রাজদণ্ড কাড়িয়া লইয়াছিল ; কিন্তু দেশে লব্ধ প্ৰতিষ্ঠ হইতে পারে নাই। জয়া হইলেও পূৰ্ব্বাপর হিন্দুদিগের সহিত যুদ্ধ করিয়া আসিতেছিল। বাবরসহ কর্তৃক মোগল রাজশক্তি প্ৰতিষ্ঠিত হইলেও সেই বন্দোবস্তই চলিল; হিন্দু ও পাঠান পরস্পরে মিলিত না হইলেও মোগলের শত্রু হইয়া রহিল । বাবরের মৃত্যুর পর তঁহার পুত্র হুমায়ুন শাহ পাঠানশক্তির নিকট পরাভব স্বীকার করিয়া ভারতবর্ষ ত্যাগ করিলেন। আবার হিন্দুপাঠানে পুৰ্ব্ববৎ দাবাখেলা চলিল। দেশে শান্তি নাই ; পাঠান একটু নরম হইয়া ।