পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SIG . उिरुनिक ठिंबा । এক দল নাবিক সৈন্য জাহাজ হইতে নামিয়া নগর প্রাকারস্থ কামানগুলার মুখ বন্ধ করিয়া দিল। তখন হুগলির ফৌজদার ভীত হইয়া যুদ্ধ নিবৃত্তির প্রার্থনা জানাইল। ইংরাজেরা বলিয়া পাঠাইলেন-ফৌজদার যদি দহমান কুঠি হইতে র্তাহাদের সোরা ও অন্যান্য পণ্যদ্রব্যগুলি বাহির করিয়া জাহাজে তুলিয়া দিতে সাহায্য করে, তাহা হইলে তাহারা যুদ্ধে নিবৃত্ত হইবেন। ফৌজদার তথনাই সন্মত ; প্রস্তাব মত কাৰ্য্য হইল । তখন ফৌজদার ও চাৰ্ণক সাহেবে সাক্ষাৎ হইল। এইরূপ স্থির হইয়া গেল যে যতদিন পৰ্যন্ত ইংরাজের নূতন ফারমান না পাইবেন, ততদিন তাহাদের পূর্ব স্বত্ব সমস্ত বজায় থাকিবে । এই যুদ্ধের সংবাদ যথা সময়ে ঢাকায় পৌছিল। নবাবের ক্ৰোধের ইয়াত্তা রহিল না । পাটনা, মালদহ, ঢাকা ও কাশিম বাজারে কোম্পানির যে সকল কুঠি ছিল, সমস্ত বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ হইয়া গেল, এবং ইংরাজিদিগকে বঙ্গদেশ হইতে তাড়াইয়া দিবার জন্য বহুসংখ্যক অশ্বারোহী ও পদাতি সৈন্য পাঠাইলেন। ইংরাজেরা এই সংবাদ পাইলেন। তঁহারা বুঝিলেন,-হুগলিতে থাকিয়া আত্মরক্ষা করা সম্ভব নয়। বরং অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত সুতানটিতে থাকিলে জাহাজের সাহায্যে আত্মরক্ষা করিতে পরিবেন। এই পরামর্শ স্থির হইল। তাহারা ২০শে ডিসেম্বর হুগলি ছাড়িয়া সুতানটিতে আসিলেন । এই সুতানটি বর্তমান কলিকাতা নগরীর অন্তভুক্ত । GF직 শ্ৰীনকুলেশ্বর বিদ্যাভূষণ ।