পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণেশ্বরী Y R রাজমাতাই একরূপ রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করতেন । এখনও কল্যাণশেখরের মাতার অনুমতি ব্যতীত কোন কাৰ্য্যই করিতেন না। তিনি সন্ন্যাসীর নিকট পতিশ্রুত হইয়াছিলেন যে, সাধনাকে বিবাহ করিবেন । কিন্তু মাতার অনুমতি ব্যতীত তাহা কিরূপে পরিবেন, তাহাই চিন্তা করিতেছিলেন, এবং কিরূপেই বা মাতার নিকট তাহ প্ৰকাশ করবেন, ইঙ্গা ও সর্বদ। তাহার মনে উদয় হইত। অবশেষে শু্যামরূপাদর্শনের কথা উপলক্ষে রাজমাতাকে সমস্ত বলিবেন ও সন্ন্যাসী ঠাকুরের দোহাই দিয়া র্তাহার অনুমতি লাইবেন, ইহাই স্থির করিলেন। পঞ্চকুটের রাজপ্রাসাদ ও অন্তঃপুর সন্ন্যাসীঠাকুরের পক্ষে অবারিতদার ছিল। রাজমাতা ও নিঃসঙ্কোচে তাহার সহিত আলাপ করিতেন । সেনপাহাড়ী হইতে প্রত্যাগত হইয়া রাজমাতার সহিত শ্যামরূপ সম্বন্ধে কল্যাণশেখরের সামান্য কথা বাৰ্ত্ত হইয়াছিল। একদিন আবার তাহা একটু বিশেষভাবে ধ{লবার জন্য কল্যাণশেখর ইচ্ছুক হইলেন এবং তিনি সন্ন্যাসীঠাকুরের আগমন প্রতীক্ষাও করিতেছিলেন। তঁহার আসিতে বিলম্ব দেখিয়া কল্যাণ শেখর চিন্তিত হইতেছিলেন । একদিন রাজমাতা নিজেষ্ট শুমািরূপার কথা জিজ্ঞাসা করিতে আরম্ভ করিলেন, তিনি বলিলেন, - “কল্যাণ, কৈ ভাল করিয়া ত শ্যামরূপার কথা শুনিতে পাইলাম •ा ?” “কয়দিন ধরিয়া বলিব বলিব মনে করিতেছিলাম। কিন্তু ঘটিয়া ऐळेष्ठं नांझे ।” “শ্যামরূপা খুব জাগ্ৰত, না ?” “হাঁ মা তঁহারই জন্যই সেনবংশের এত প্ৰতিপত্তি । বল্লালসেন। তঁহারই জন্য দ্বিগ্বিজয় করিতে পারিয়াছেন।” ‘তা করুক, কিন্তু পঞ্চকুটে সেনেরা আসিতে পারে নাই।” “সেও শুষ্কামরূপার কৃপায় ।”