পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 ঐতিহাসিক চিত্র। আসিতেছেন ; সেই সকল তাসের আকার ও তাসখেলার প্রথার মধ্যে অনেকগুলি উঠিয়া গিয়াছে, কিন্তু এখনও অতি প্ৰাচীনকাল হইতে কয়েকটি হিন্দুরাজবংশে একপ্রকারের ਸ਼ਭ তাস খেলা পুরুষপরম্পরায় চলিয়া আসিতেছে, তাহার নাম-“গঞ্জীফা।” কতকগুলি প্ৰতিভাশালী হিন্দু নরপতি মুসলমানদিগের প্রবৰ্ত্তিত বিদেশীয়,তাস খেলার প্রথা পরিবর্তনপূর্বক নুতনভাবে-হিন্দুমতেতাস তৈয়ার করিবার চেষ্টা করেন এবং পরিণামে তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইয়া নবীন প্ৰথানুসারে এক আশ্চৰ্য্য তাস খেলার প্রথা প্ৰবৰ্ত্তন করেন। প্ৰায় পঞ্চশত বৎসরকাল ব্যাপিয়া এই প্রকারের তাস ও এই প্রকারের নূতন প্ৰথা, অনেক হিন্দু রাজংবশে চলিয়া আসিতেছে, এখনও তাহা বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। ঐ নূতন তাসের নাম “গঞ্জীফা”। ইহা অবশ্য মুসলমানীয় নাম, কিন্তু সেকালে মুসলমান-শাসন প্রভাবে মুসলমান-ভাষার বহু প্ৰচলন থাকা হেতু হিন্দু রাজগণ “গঞ্জীফা” নাম ব্যবহার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । মুসলমানেরা এখন “গঞ্জীফা।” অর্থে সর্বপ্ৰকার তাসকে নির্দেশ করিয়া থাকে, কিন্তু বাস্তব কথা এই, হিন্দু রাজাদের ঐ নুতন ধরণের তাসের নামই “গঞ্জীফা”। এই অদ্ভুত তাসের কৌতুককর বিবরণ নিয়ে প্রদত্ত হইতেছে । পারস্ত “গানজা’ অর্থে ধন , এস্থলে ধনী, বণিক, মহাজন, শেঠী প্রভৃতি ঐশ্বৰ্য্যশালী ( প্ৰভুত্বশালী) লোককেই বুঝিতে হইবে। এই শ্রেণীর লোকেরা অন্দরমহলে, বন্ধুসমাজে, বৈঠকখানায়, প্ৰমোদোদ্যানে তাসের ক্রীড়া এবং বিবিধ প্রকার কৌতুক ( হাতের চাতুরী) দ্বারা দর্শকগণকে আমোদিত করিতেন, এই জন্য তাসের নাম গঞ্জীফা, অর্থাৎ বড় লোক কর্তৃক কৌতুক বা হস্তকৌশল ( চাতুরী), কিংবা ক্রীড়া প্রদর্শনের উপায়। প্রাচীন হিন্দু রাজাদের গঞ্জীফা এখন সুলভ নহে, ইহার খেলা এক প্রকার উঠিয়া গিয়াছে বলিলেই হয় এবং ইহা সহজে আর তৈয়ারী