পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by O ঐতিহাসিক চিত্ৰ । কাঞ্চ ও কালের অটুট শক্তি সহা করিয়া, যেন কি তীব্ৰ প্ৰতিজ্ঞায় অটলভাবে দণ্ডায়মান। যেন কোন পবিত্র চরিত্রকে গৌরব-কীৰ্ত্তিতে উদ্দীপ্ত করিতে তাহার একান্ত বাসনা ; কিন্তু তাহার সে বাসনা সফল হইল কই ? তাই বুঝিায়। মন্দিরের গাত্ৰ-নিঃস্থত বারিবিন্দু * হৃদয়ের ব্যথা প্ৰকাশের ছলে অশ্রুবর্ষণ করিতেছে । ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেল কোম্পানীর বাষ্পীয় শকটে বসিয়া দক্ষিণ দিকে চাহিলে যে গোলাকার ইষ্টকস্তম্ভ দৃষ্টিপথে উপনীত হয়, তাহাই পাণ্ডুয়ার প্ৰাচীন কীৰ্ত্তি-পোড়োর মন্দির আজিও পাণ্ডুয়াকে বাঙ্গলা দেশের বহু নির্জীব পল্লীর মধ্যে পরিচিত করিয়া রাখিয়াছে। পাণ্ডুয়া ষ্টেসন হইতে নামিয়া যে পাকা রাস্তা (গ্র্যাও টুঙ্ক রোড়),তাহ ধরিয়া চলিলেই অৰ্দ্ধঘণ্টার মধ্যে মন্দিরের পাদদেশে উপস্থিত হওয়া যায়। পাণ্ডুয়া গ্ৰামটী দৈর্ঘ্যে চারিক্ৰোশ। কিন্তু মন্দিরের সন্নিকটে ও ইহার চারিপার্থে কেবল নিঃস্ব মুসলমানের বাস। তাহদের চিন্তাকুঞ্চিত ললাট ও নিরাশ দৃষ্টি দেখিয়া তাহাদের অতীত সৌভাগ্যের ধারণা করা কষ্টকর। বেণী দিনের কথা নয়, যে সময় দাশুরায় পাণ্ডুয়ার দুর্ভাগ্য বর্ণনা করিয়া খেদোক্তি করিয়াছেন, তাহার কিঞ্চিৎ পূর্বে পাণ্ডুয়া ধনে ধান্যে, সম্পদে ও সম্মানে তুচ্ছ ছিল না। গ্রামের লোকের মুখে শুনা যায় যে, এককালে পাণ্ডুয়া গ্রামে 0SL DDDDD SDDDDS K DYD DDBHEDBBD DBB BYS S DBYS SDD BDS “আয়মাদা” খুজিয়া বাহির করা কষ্টকর। পাণ্ডুয়ার অতীত ইতিহাস বিস্মৃতির গর্ভে চিরলুক্কায়িত । ‘বিশ্বকোষ'- প্ৰণেতা শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয় অনুমান করেন, “গৌড়ের প্রাচীনতম পৌণ্ডবৰ্দ্ধন ( বর্তমান বড় পাণ্ডুয়া, ইহা মানভূম জেলার অন্তৰ্গত। জঙ্গলে পরিপূর্ণ) হইতে পাল রাজ কর্তৃক আদিশূরের বংশধর তাড়িত হইলে, শূৱ বংশীয় নরপতিগণ দক্ষিণ রাঢ়ে আসিয়া রাজত্ব করিতেন। • লেখক গত বর্ধায় পাণ্ডুয়ারি ভগ্ন মন্দির দেখিতে গিয়াছিলেন । ,