পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক চিত্র। وسط8؟ পুষ্করিণী আছে। গ্রামে জলকষ্ট উপস্থিত হইলে বহুদূরের লোক এই পুষ্করিণীর জল ব্যবহার করিয়া জীবন রক্ষণ করে । পুষ্করিণীর চতুর্দিকে ঘুরিয়া আসিতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগে। পুষ্করিণীতে এক বৃহৎ কুমীর বাস করে। তাহাকে ডাকিলে দেখা দেয় ও মুরগি দিলে খাইয়া যায় । পাণ্ডয়া বৰ্ণনা শেষ করিলাম। প্রাচীন ধ্বংসস্তাপের অভ্যন্তর হইতে সে মহান পবিত্র উজ্জল আলোকচ্ছটা মুহুর্তের জন্য আমার নিকট প্রতিভাত হইয়াছিল। তাহাতে দেখিলাম যে ভারত প্রাচীন, যাহা প্রাচীন, বৃহৎ, উদার, নিৰ্ভীক, যাহার সমাজ বটবৃক্ষের ন্যায় অমর, আজ তাহা আলোক, বায়ু ও সহানুভূতির অভাবে মুছাপন্ন হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে, আর যে মঙ্গল তাহার ধেয় ও শ্রেয় তাহা আজ ২০ কোটী ভারতবাসীকে স্বার্থসংগ্রামের বাহিরে ফললোলুপ কৰ্ম্মের তাড়না হইতে মুক্ত হইয়া আপনার একাধিত্বের মধ্যে লীন হইবার জন্য নয়। কিন্তু কৰ্ম্মকে ব্ৰহ্ম (কৰ্ম্ম ব্ৰহ্মোড়বং বিদ্ধি-গীতা) জানিয়া কৰ্ম্মকে জীবনের ধ্রুব করিয়া বিপুল উৎসাহে ভগবানের দিকে লক্ষ্য স্থাপন করতঃ অগ্রসর হইবার জন্য আহবান করিতেছে । আজ যেন সেই ধ্বংসস্তােপ আপনার শীর্ণ দেহখানি রক্ষা করিবার জন্য ভগবানের নিকট যুক্ত করে প্রার্থনা করিতেছে ও BDDBDDBB BDBBDBD DBB S DBDBDBDDSuDS DB KY KK বরাণ নিবোধত” হে ভারতবাসি মোহনিৰ্ম্মােজ হইয়া জাগিয়া উঠ, দেখ সমস্ত জগৎ নূতন আলোকে জাগিয়া উঠিয়া কৰ্ম্মস্রোতে অঙ্গ ঢালিবার জন্য ভারতের বাতায়নতিলে আসিয়া দাড়াইয়াছে, তোমরাও ধৰ্ম্মকে বৰ্ম্ম করিয়া মঙ্গলকে লক্ষ্য করিয়া অগ্রসর হও, কাৰ্য্য মিলিবে, আবার ভারতবর্ষ ধনধান্যে প্রতিষ্ঠিত হইবে, আবার আমার ভগ্ন পঞ্জরের মধ্য হইতে মঙ্গল-শিক্ষা-নিঃস্থত আলোকে আমি উদ্ভাসিত হইয়া উঠিব। হায় ! বুঝি বা সে মহীয়সী বাণী প্ৰেতো যোনী সংসারের কোলাহলে অৰ্দ্ধপথে মিশাইয়া যাইতেছে। শ্ৰীহরিদাস গজোপাধ্যায়,-সাং বৈদ্বন্তবাটী ।