পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te ঐতিহাসিক চিত্র। , তথায় আগমন করিল ; মুহূৰ্ত্ত মধ্যে শিবির আফগান সৈন্যে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। সকলেই জৈনুদ্দীনকে’ যথাযোগ্য সম্মান প্ৰদৰ্শন করিতে লাগিল । * মোরাদ সের খাঁ উপবিষ্ট হইয়া সমসের খাকে জিজ্ঞাসা করিল যে এই সময়ে জৈনুদ্দীনকে আক্রমণ করা উচিত কি না। সমসের খাঁ নিজ শ্মশ্ৰকণ্ডয়নচ্ছলে তা হাতে হস্ত প্ৰদান করিয়া মস্তক ভঙ্গিতে তাহাকে নিষেধ করিলেন। জৈনুদ্দীন এ সমস্ত ব্যাপারের কিছুই বুঝিতে পারেন নাই । তিনি আফগানদিগের প্রতি এতদূর আসক্ত হইয়া ছিলেন যে, তাহার সমস্ত জ্ঞানবুদ্ধি যেন লোপ পাইবার উপক্রম হইয়াছিল। তঁহার পক্ষের লোকদিগের মধ্যে দুই একজন তাহদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারিয়াছিলেন। সমসের খাঁ তাহার কাৰ্য্যগ্ৰহণের চিহ্নস্বরূপ জৈনুদ্দীনকে কতিপয় হস্তী ও অশ্ব প্ৰদান করিতে স্বীকৃত হইলে, তিনি তাহাকে ধন্যৰাদ প্ৰদান করিয়া আপনার প্রাসাদাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন, এবং নৌবিভাগের অধ্যক্ষকে আফগানদিগকে পার করিবার জন্য কতিপয় নৌকা প্রদানের আদেশ দিলেন । আফগানগণ নদী পার হইয়া জাফর খ্যার উদ্যানে সমবেত হইল । জৈমুদ্দীন তাহাদিগকে দেখিবার জন্য দুই একজন মাত্ৰ অনুচরসহ শিবিকারোহণে নাজিম উদ্দীনের মহল্লা নামক স্থানে উপস্থিত হইলেন । পথিমধ্যে সর্দার খাঁ তাহার সৈন্য সহিত উপস্থিত হইয়া তাহার প্রতি যথোচিত সন্মান প্ৰদৰ্শন করেন। সর্দার খাঁ, সমসের খাঁ ও মোরাদ সেরের ষড়যন্ত্রের বিষয় অবগত ছিলেন না । তিনি নিজ মুখে সা মহম্মদ জামিন ও সা রাস্তম আলি নামক দুই জন ফকিরের নিকট ব্যক্তি করিয়াছিলেন যে, তিনি এই বিষয়ের বিন্দুমাত্র জানিতে পারেন নাই, জানিতে পারিলে তিনি তৎক্ষণাৎ তাহাদিগের সঙ্গ পরিত্যাগ করিতেন । কিন্তু জৈনুদ্দীনের হত্যার পর তিনি কি কারণে তাহাদিগের সহিত থাকিতে বাধ্য হন, তাহার উত্তর এই প্ৰকার প্রদান করিয়াছিলেন যে, যদি এক্ষণে তাহাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করেন, তাহা হইলে তঁহার পক্ষে অনিষ্ট হইবার