जि९ह-भि9 । Q YNd গুরু-গোবিন্দ সিংহের প্রতি তোমাদের যে প্ৰতিহিংস আছে, তাহা এই অবসরে পরিতৃপ্ত কর । ইহারা তাহারই পুত্র”।” এই পাঠানদের পিতা এক যুদ্ধে গুরু-গোবিন্দের হস্তে দেহত্যাগ করে । সেই অবধি ইহারা গুরু-গোবিন্দের আন্তরিক শক্ৰ হইয়া উঠে ও তাঁহাকে শাস্তি দিবার সুযোগ অন্বেষণ করিতে থাকে । কিন্তু এ পৰ্য্যস্ত তাহদের সে সুযোগ ঘটিয়া উঠে নাই । নবাব বাজিদ খাঁ এ কথা জানিতেন । তাই তিনি আজি শিশুদিগকে নিহত করিবার মানসে ইহাদের হস্তে শিশুদ্ধয়কে তুলিয়া দিলেন । কিন্তু পাঠান কাপুরুষ নহে। তাহদের হৃদয়ে বীরের রক্ত প্ৰবাহিত হইতেছিল । তাহারা নবাবের আদেশ অমান্য করিয়া বলিল—“আমাদের পিতা যুদ্ধে ইহাদের পিতৃকর্তৃক নিহত হইয়াছেন। আর আমরা এত দূর হৃদয়হীন কাপুরুষ নাহি যে, প্ৰতিহিংসার বশবৰ্ত্তী হইয়া এই বালকদিগকে হত্যা করিব । যতদিন না। আমরা প্ৰকৃত সুযোগ পাই, যতদিন না। যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের শক্র গুরু-গোবিন্দের সাক্ষাৎ পাই ও তাহার মস্তক দেহত্যুত করি, ততক্ষণ চুপ করিয়া থাকিব, ইহার শিশু । ক্ষমা করিবেন-আমরা আপনার আদেশ মান্য করিতে
- दि] = '?
পাঠানদের এই বীরোচিত বাক্যে নবাব একটু লজ্জিত হইলেন। তঁহার সভাসদেরা তখন অনেকেই বালকদের মুক্তির জন্য নিবেদন করিলেন । স্বীয় কাপুরুষতা স্মরণ করিয়া নবাবের বদনমণ্ডল আরক্ত হইয়া উঠিল । বালকদিগকে মুক্তি দিতেও তিনি অনেকটা ইচ্ছক হইলেন । কিন্তু হিন্দু মন্ত্রীর * উত্তেজনায় তঁহার সে কোমলতা ক্ষণপরেই দুর হইল। সকল দেশেই কাপুরুষ জন্মে। হিন্দুকুলক লঙ্ক সেই কাপুরুষ নবাবকে বলিল –‘সপ-শিশুকে বাড়িতে দেওয়া কখনও রাজনীতি-সঙ্গত নহে । ইহার মোগল সম্রাটের ভীষণ বিদ্রোহীর পুত্র। ইহাদিগকে
- এই মন্ত্রীর নাম কোন মতে কুলযশ, কোন মতে বা সাচ্চানন্দ ।
