পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

幽8 केडिश्ांजिक द्धि। বিশেষ কোন উন্নতিসাধন করিয়া যাইতে পারেন নাই বটে, কিন্তু তাহার খনিত “শ্যাম সায়র" নামক সুবিশাল সরোবর :বিদ্যমান থাকিয়া আজিও उँछद्र ख्यमद्वाद्ध cवाष°। कब्रिgङgछ । ঘনখামের মৃত্যুর পর তৎপুত্র কৃষ্ণরাম রায় সেই প্রভূত সম্পত্তির অধিকারা হইয় তাহার উন্নতিসাধনে মনোনিবেশ করিলেন । মোগলসম্রাট আওরঙ্গজেব তখন দিল্লীর সিংহাসনে সমাসীন। কৃষ্ণরাম তাহার নিতান্ত অনুগত ও বাধ্য ছিলেন,-তাই সম্রাট তাহাকে মহারাজা উপাধিসহ চাকৃলে বৰ্দ্ধমানের জমিদারীর সনন্দ প্রদান করিয়া তাহার গুণের পুরস্কার করেন। প্রকৃতপক্ষে সুবিশাল বৰ্দ্ধমান রাজ্যের ইহাই স্থত্রপাত। দিল্লীর সম্রাটু কর্তৃক এইরূপ অভিনন্দিত হইয়া কৃষ্ণরাম চতুর্দিকে আপন রাজ্য বিস্তার করিতে আরম্ভ করিলেন। তঁহার অত্যাচার, প্রভূত, ঐশ্বৰ্য্য চতুঃপার্থের জমিদারবর্গের অসহ্য হইয়া উঠিল। এই সময়ে চেতুয়া বরদার জামীদার শোভাসিংহ, বিষ্ণুপুরের রাজা গোপালসিংহ এবং চন্দ্রকণার রঘুনাথসিংহ বিদ্রোহী হইয়া প্ৰবল প্ৰতাপে মোগল সম্রাটেয় বিরুদ্ধে, অস্ত্ৰধারণ করিয়া দেশজয়ে প্ৰবৃত্ত হইলেন। কৃষ্ণরাম মোগলসম্রাটের অধীন ও অনুগত ছিলেন, তাই তিনি সম্রাটের পক্ষ হইয়া বিদ্রোহীদিগকে আক্রমণ করিলেন। শোভাসিংহের সহিত র্তাহার যুদ্ধ বাধিল । কিন্তু, দুৰ্বল শোভাসিংহ প্ৰবল কৃষ্ণরামের সহিত অ্যাটিয়া উঠিতে না পারায় তাহাকে জব্দ করিবার মানসে উড়িষ্যার পাঠান দলপতি রহিম খাঁর শরণাপন্ন হইলেন । পাঠানের চিরদিনই মোগলের শত্ৰু, সুতরাং রহিম খাঁ এ সুযোগ ত্যাগ করিতে পারিলেন না । হৃদয়ে মোগলরাজ্য ধবংস বাসনা গুপ্ত রাখিয়া তিনি শোভাসিংহের সাহায্যার্থে সসৈন্যে আসিয়া তাহার সহিত যোগদান করিলেন । সম্মিলিত সৈন্ত ভীমবিক্রমে বৰ্দ্ধমান আক্রমণ করিয়া যুদ্ধে কৃষ্ণরামকে নিহত করতঃ রাজপ্ৰাসাদ অধিকার করিয়া সমস্ত ধনরত্ন হস্তগত করিলেন। রাজকুমার জগতরায় রাজপ্রাসাদ হইতে