পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাল্লোল্ল আমালো কচ্ছিলেন। কিশোর রায় এর দূর সম্পর্কে পিসতুত চাই। তিনি অনেক সমর মহিলাদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার, দেশী পদ্ধঙ্গি রক্ষা করে, অথচ হরবোলা সেজে। শুধু অর্থবোধহীন শ্লোক মুখস্থনা করে, কিরূপে উৎকৃষ্টভাবে হ’তে পারে, তাই নিয়ে অমরাবতীর সঙ্গে পরামর্শ করতেন । এত বছর বিলেতে ছিলেন, অথচ একটি ইংরেজী শব্দ তিনি কথোপকথনের সময় ব্যবহৃত করতেন না ; বাড়ীতে সাড়ী প’রে থাকতেন। জুতো পৰ্ব্বতেন না, রোজ গীতা ও উপনিষৎ পাঠ করতেন এবং একাদশী ও অপরাপর নির্দিষ্ট তিথি পালন করতেন। অথচ হিন্দু মহিলারা যাতে করে সংস্কৃতের সঙ্গে ইংরেজী এমন কি ফরাসী প্রভৃতি শিক্ষা করতে পারেন, শিল্পশিক্ষা দ্বারা নিজেরা উপাৰ্জন করতে পারেন—নবন্ধুগের আদর্শ প্রাচীন আদর্শের শুদ্ধতা রক্ষা ক'রে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন সে বিষয়ে অমরাবতী বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন । এর সম্বন্ধে আমরা পরে আরও লিখব। একদিন রান্ত্ৰি ১০টার পরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে কটা বেজেছে দেখ বার জন্য পায়ের নীচে থাটের মশারি বাধাবার শলাকালগ্ন একটা ছোট ব্ৰাকেট পাদিয়ে টিপে কিশোর রায় বৈদ্যুতিক আলো জ্বল্লেন । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, দূরে তার স্ত্রীর পালঙ্ক শূন্য রয়েছে, জ্ঞানদায়িনী তথায় শায়িত নাই । তিনি উঠে এসে দেখেন, সেইধারে হলের কপাটের খিল খোলা, অথচ দোর ভেজানে রয়েছে। নিজের বিছানায় এসে বসে বসে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন। জ্ঞানদায়িনী এলেন না। তপন বাইরে গিয়ে খুজতে গেলে জানাজানি হ’বে, এজন্য তিনি বাইরে গেলেন না । কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হ’য়ে সমস্ত চিত্ত একাগ্ৰ ক’রে ভগবানকে ডাকতে লাগলেন। বাবাজি যে বলেছিলেন “তুমি জ্ঞানদাকে ছাড়তে পারবেন।” তা ঠিক, সে যতই ঠেলে NOS3 r